আব কি বার, দোশো পার- একুশের বিধানসভা ভোটের আগে স্লোগান তুলেছিল বিজেপি (BJP)। নিট ফল কী হয়েছিল? বিজেপি পেয়েছিল সাকুল্যে ৭৭। আবার ২৪-এর লোকসভায় বিজেপি আওয়াজ তুলেছিল ৪২ এ ৩৫। বিজেপি পেয়েছিল ১২। আর ২৬-এ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) যখন ১৮০-র টার্গেট দিচ্ছেন, কটাক্ষের সুরে তৃণমূলের আইটি সেলের চেয়ারম্যান দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) ঐকিক নিয়মে অংক কষে দেখিয়ে দিলেন বিজেপির আসল সংখ্যা কত হতে পারে।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনের টার্গেট দিয়েছিল। তারপর ৭৭ আসনে জয়লাভ করলেও বর্তমানে বিধানসভায় তাদের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। এই পরিস্থিতিতে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে আর দুশোর টার্গেটে যাওয়ার সাহস করছেন না বিজেপির নেতারা। পরিস্থিতি বুঝে টার্গেট সংখ্যা কমিয়ে ১৮০ করেছেন খোদ বিরোধী দলনেতা।বৃহস্পতিবার তমলুকের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী এই টার্গেট খাঁড়া করেছেন। আর তা শুনে তৃণমূলের আইটি সেলের চেয়ারম্যান দেবাংশু ভট্টাচার্য বসেন অংক কষতে। তার সেই অংকের উত্তর যা মিলল, সেটাই তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

তৃণমূলের যুব নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো অঙ্কে কষে জানালেন বিজেপির আসন সংখ্যা কত হতে পারে তাদের নেতাদের দেওয়া পরিসংখ্যান-মাফিক। ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, ২০০-র টার্গেট দিয়ে যারা ৭৭ পায়, ৩৫-এর টার্গেট দিয়ে যারা ১২ পায়, ১৮০-র টার্গেট সেট করে তারা ফাইনালি কত পেতে পারে? ঐকিক নিয়মের অঙ্ক কী বলছে? ২০০-র টার্গেটে ৭৭ হল প্রায় ৩৮ শতাংশ, ৩৫-এর টার্গেটে ১২ হল ৩৪ শতাংশ। বিধানসভা ট্রাক রেকর্ড ধরলে তারা সেট করা টার্গেটের ৩৮ শতাংশ হাসিল করতে পারে। সুতরাং, ১৮০-র ৩৮ শতাংশ হয় ৬৮ টি আসন। লোকসভার ট্র্যাক রেকর্ড ধরলে ১৮০-র ৩৪ শতাংশ হয় ৬১টি আসন। এই পরিসংখ্যান দিয়েই দেবাংশুর কটাক্ষ, এভাবেই চালিয়ে খেলুন শুভেন্দুবাবু! আমাদের বিশ্বাস, বিরোধী দলের তকমা প্রাপ্তির সম্ভাবনাটাও আপনি একা হাতেই শেষ করবেন! আপনি আমাদের লক্ষ্মী।

২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের এখনও এক বছর বাকি। এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে চাপান-উতোর। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন। ২১৫ প্লাস আসন প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন, যা একুশের ভোটে প্রাপ্ত আসনের থেকে অন্তত এক বেশি।

–

–

–

–

–

–

–
