স্তন চেপে ধরা এবং পাজামার ফিতে খুলে ফেলা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়, সেটা শারীরিক নিগ্রহ। এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার এই রায়ে মোটেই খুশি নন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী(central minister)। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলছেন, এই ভুল সিদ্ধান্তের ফলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে।

সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের(alahabad high court) বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার স্তন চেপে ধরা এবং তার পায়জামার ফিতে ছিঁড়ে দেওয়াকে কোনওভাবেই ধর্ষণ বা ধর্ষণের প্রচেষ্টা বলা যায় না। বিষয়টি আইনের চোখে ‘গুরুতর যৌন নিপীড়ন’ হিসেবেই বিবেচিত হবে।উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার মামলা চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। অভিযুক্ত দুই যুবক পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ১১ বছর বয়সি এক শিশুর স্তন চেপে ধরে, তার পায়জামার ফিতে ছিঁড়ে ফেলে তাকে টেনে হিঁচড়ে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পথচারীরা এগিয়ে এসে বাধা দিলে, তারা পালিয়ে যায়।

কাশগঞ্জের ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ) এবং পকসো আইনের ১৮ ধারার (ধর্ষণের চেষ্টা) অধীনে বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। পাল্টা অভিযুক্তরা হাইকোর্টে আপিল করে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রর বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪-বি ধারা এবং পকসো আইনের ৯/১০ ধারা অনুযায়ী বিচার চলবে।বিচারপতি মিশ্রার সিদ্ধান্তে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নানা মহলে বিচারপতির সমালোচনাও হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া বলেছেন, এটা গোটা দেশের মহিলাদের অসম্মান। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হওয়া উচিত। আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল আরও একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের মন্তব্য কোনও বিচারক করতে পারেন ভেবেই আমি স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি। এবার খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও একই সুরে কথা বললেন। অন্নপূর্ণা দেবীর বক্তব্য, এটা সম্পূর্ণ ভুল রায়। দেশে ভুল বার্তা যাবে এই রায়ে। সুপ্রিম কোর্টের উচিত ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

–

–

–

–

–

–

–

–