বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতি যশবন্ত বর্মা (Yashwant Varma)। আর তারপরেই একেবারে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসছে। প্রকাশ্যে এলো সেই নথি যেখানে সিবিআইয়ের (CBI) দায়ের করা এফআইআরেও (FIR) নাম ছিল হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত কর্মার।

২০১২ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স-এর (OBC) দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। ঋণ নিয়ে ধাপ্পাবাজির জেরে সিম্ভৌলি সুগার মিলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই তদন্তে সিবিআই (CBI) এফআইআর-এ (FIR) যাদের নাম রেখেছিল তার মধ্যে ১০ নম্বরে ছিল বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Yashwant Varma) নাম। এবং সেখানে চিনির মিলের নন-এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে উল্লেখ করা হয় তাকে।

সিবিআইয়ের (CBI) এই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই পরে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ও (ED) তদন্ত শুরু করে। যদিও বিচারপতি বর্মার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পরেও আদৌ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের পদক্ষেপে। কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিচারপতি বর্মাকে উন্যত্র স্থানান্তরিত করা হলেও অন্য কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রের সরকারের যুক্ত থাকাকে কটাক্ষ বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি, এর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, বিচার ব্যবস্থার বিষয়গুলিকে নিশ্চিত করতে হবে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এনে। যদিও প্রধান বিচারপতির নিয়োগে কেন্দ্রের সরকারের যুক্ত থাকা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। মোদি সরকার বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে নিয়োগের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে।

–

–

–

–

–

–

–
