রাজ্যের মহিলাদের শিক্ষা থেকে কর্মসংস্থান, এমনকি সামাজিক মানোন্নয়নে পথ দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুষ-নারীর ভেদাভেদ মুছে বার কাম রেস্তোরাঁগুলিতেও (bar cum restaurant) সমান কাজের অধিকার দিয়েছে রাজ্যের সরকার। সম্প্রতি সেই বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। যেভাবে শতভি বসু দেশের প্রথম মহিলা বার টেন্ডার (female bar tender) হিসাবে ইতিহাসে উজ্জ্বল নাম রেথেছেন, সেভাবে এই ব্যবসাতেও মহিলারা আরও উন্নতি করবে, আশা রাজ্য প্রশাসনের। আর তাতেই আপত্তি রাজ্য বিজেপির। এটিকে ইস্যু করে মহিলাদের সম্মান নিয়ে প্রতিবাদে নামতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল বিজেপিকে স্মরণ করিয়ে দিল দিলীপ ঘোষের মহিলাদের অসম্মানের প্রসঙ্গ।

গুটি কয়েক লোক নিয়ে শহরের রাজপথে নেমে বাজার গরম করার চেষ্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। মহিলাদের বার-রেস্তোরাঁয় কাজের প্রতিবাদ মহিলা সমর্থকই জোগাড় করতে পারল না বিজেপি মহিলা মোর্চা (BJP mahila morcha)। শনিবার কলেজ স্কোয়ার থেকে বৌ-বাজার পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশরে তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হলে অযথা ধস্তাধস্তির পরিস্থিত তৈরি করেন তাঁরা। বিজেপির দাবি, মহিলারা কাজ করলে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

সেখানেই বিজেপির নেতাদের মহিলাদের প্রতি মনোভাব নিয়ে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তুলে ধরেন, ওনারা মহিলাদের সম্পর্কে কোনও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন না। দিলীপ ঘোষ মহিলাদের সম্পর্কে যে ভাষায় কথা বলেন, তার তো কোনও সমালোচনা করতে দেখলাম না। যখন একজন মহিলার গলা টিপে মারব, চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করব বলছেন, তখন তো মহিলা মোর্চার (Mahila Morcha) গায়ে লাগছে না। মহিলা মোর্চার তো উচিত দিলীপ ঘোষের কুশপুতুল দাহ করা।

–

–

–

–

–

–

–

–
