লরেন্স গ্যাং যতই খুনের হুমকি দিক না কেন, বলিউডের ‘সিকন্দর’ (Sikandar) বেপরোয়া মেজাজেই সিনেমার প্রমোশনে ব্যস্ত। গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা থেকে হুমকি ই-মেইলের পর নিরাপত্তা বেড়েছে, কিন্তু ‘অ্যাটিটিউড’ একই রকম রেখে দিয়েছেন সলমন খান (Salman Khan)। আগামী ইদে (Eid) মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandana) সঙ্গে অভিনীত ছবির প্রচারে এসে প্রথমবার হামলার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভাইজান। বললেন, “ভগবান, আল্লা সবাই উপরে রয়েছেন। ভাগ্যে যা বয়স লেখা আছে, ততদিনই বাঁচব। তবে কখনও কখনও এত লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়, যে সেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যস এটুকুই।” গত কয়েক মাস ধরে সলমন স্বেচ্ছায় বাড়ি আর সিনেমার সেটের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এমনকি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে অকপটে ভাইজানের মন্তব্য, “সাংবাদিকদের দেখলে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হই না, বরং ওঁরা আশেপাশে না থাকলেই তখন কেমন যেন মনে হয়, আমার স্টাইলে ব্যাঘাত ঘটছে!”

ভারতীয় বিনোদন জগতে (Bollywood) খানেদের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও সমানভাবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু শাহরুখ- সলমনদের সিনেমা। পাক নাগরিকরা নানাভাবে বলিউডের শিল্পীদের বিশেষ করে খান বা কাপুরদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলেও, তাঁদের অভিনীত সিনেমা সিরিজ যে পাকিস্তানি দর্শকদের মনের রাজত্ব করছে তার প্রমাণ দিয়েছে ইন্টারনেট। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বিনোদন জগতে পাকিস্তানের শিল্পীদের নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের (SC ) রায় শাপমোচন হলেও সেভাবে আর পাক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে (Pakistani Actors) এদেশের কাজ করতে দেখা যায়নি। তবে এখানে পরিবর্তন আনতে চান সলমন (Salman Khan)। ‘সিকন্দর’ (Sikandar) সিনেমার প্রচারে গিয়ে বলিউড সুপারস্টার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যদি ভারত সরকার ছাড়পত্র দেয় তাহলে তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। সেদেশে যেতেও আপত্তি নেই ভাইজানের। সলমনের কথায়, পাকিস্তানের শিল্পীরা সন্ত্রাসবাদী নন, তাঁরা যথেষ্ট গুণী। তাই যদি দুদেশের সরকারের মধ্যে নমনীয় ভাব তৈরি হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে কোনও অসুবিধে থাকার কথা নয়।

–

–


–


–

–

–

–
–

–

–