ঠাকুরনগরে জমজমাট বারুণী মেলা, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর 

বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। জমজমাট উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের (Thakurnagar, North 24 Parganas) মতুয়া উৎসব বারুণী মেলা (Baruni Mela)। শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে এই মেলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, “জয় হরিবল, জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবারুণী, পূর্ণব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বিশ্বের সাধু, গোঁসাই, পাগল, দলপতি, মতুয়াভক্তবৃন্দ নির্বিশেষে সকলকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।”

মতুয়াদের আবেগের বারুণী মেলা এবছর ২১৪ তম বর্ষে পদার্পণ করল। বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে মেলার অনুমতি পেয়ে আসছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। শান্তনু ঠাকুর বিরোধিতা করলে মামলা গড়ায় আদালতে। সেখানেও হার হয় বিজেপি সাংসদের। মমতাবালার নেতৃত্বেই জমজমাট বারুণী মেলা। প্রতি বছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে শুরু হয়। আগামী ৭ দিন উৎসবে মেতে উঠবেন মতুয়ারা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে বারুণী মেলায় গিয়েছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রথমে তিনি ঠাকুরবাড়িতে বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরে দিয়ে সেখানে তাঁর মূর্তিতে মালা দেন। পরে হরিমন্দিরে গিয়ে ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করে পুজো দেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই করলা নদীর পাড়ে বারুণী স্নানে কয়েকশো মতুয়াদের ভিড়। সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর।অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সজাগ দৃষ্টি প্রশাসনের।