ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় একসঙ্গে ৫০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করলেন। এই ৫০ জনের মধ্যে ১৪ জনের মাথার দাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সেই পরিমাণ ছিল মোট ৬৮ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এই আত্মসমর্পণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। রবিবারই প্রধানমন্ত্রীর ছত্তিশগড় যাওয়ার কথা। রবিবার দুপুরে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর আধিকারিকদের সামনে অস্ত্র সমর্পণ করেছেন মাওবাদীরা।

জানা গিয়েছে, এই আত্মসমর্পণের নেপথ্যে জেলা রিজার্ভ গার্ড, বস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিটেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। প্রসঙ্গত, শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে সুকমায় নিহত হন ১৬ জন মাওবাদী।পুলিশ জানিয়েছে, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গলের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে মূহুর্মূহু গুলি ছুড়তে থাকে মাওবাদীরা। সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল এই মাওবাদীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী ৫০ জনের মধ্যে ৬ জনের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা, তিনজনের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা করে। এছাড়াও পাঁচজনের মাথার দাম ছিল ১ লক্ষ টাকা করে। যেহেতু তারা অস্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য সরকারের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী প্রত্যেককে ব্যবস্থা করবে পুলিশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে ২০০-র বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা, তার স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি।


–


–

–

–

–
–

–

–