পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণে ধৃত ১, রিপোর্ট তলব নবান্নের

পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক কারখানার এক মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক। মঙ্গলবার সকালে ঢোলাহাট থানার পুলিশ (Police) তাঁকে আটক করে। পাথরপ্রতিমার বাজি কারখানার বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন (Nabbana)।

সোমবার রাতে বাসন্তীপুজোর জন্য একটি ঘরে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল বলে খবর। রাত সাড়ে নটা নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ, ঢোলাহাট থানা এলাকার চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। আচমকাই বাজির স্তূপে আগুন ধরে যায়। বাড়িতে একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। পুরো দুর্ঘটনার জেরে সারাবাড়িতে আগুন ধরে যায়। রাতেই শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। এদিন ভোররাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেন কারখানার দুই মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক। এদিন সকালে চন্দ্রকান্তকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও বেপাত্তা তুষার। এই ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন (Nabbana)। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল কি না খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসকের কাছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশুসহ যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

এদিকে এই বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বেআইনি বাজি কারখানা ও আতশবাজি মজুত ইত্যাদি নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেন ডিজি। থানা এলাকাভিত্তিক কোথাও এই ধরনের বেআইনি বাজি তৈরি এবং মমজুত চ্ছে কি না তার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন ডিজি। বেআইনি বাজি, বাজেয়াপ্ত করতে নিয়মিত চেকিং ও তল্লাশি নিয়মিত চালাতে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলাভিত্তিক কোথায় কোথায় মাসে কোটি করে এই ধরনের তল্লাশি অভিযান হয়েছে সেই রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। মঙ্গলবার বিকেলে ঢোলারহাটে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ স্কুলে তদন্তে যায় ফরেনসিক টিম।