চাকরিহারাদের জট খোলার চেষ্টায় বিশৃঙ্খলা! বিরোধীদের তোপ কুণালের

সভায় একাংশ বিরোধী দলের (opposition party) মদতে প্ররোচনা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গণ্ডগোল (pre-planned chaos) সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি হারা হওয়ার ঘটনা থেকেই রাজ্যে কৃত্রিম দুর্যোগের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা বিরোধী সিপিআইএম, বিজেপির (CPIM, BJP)। দোসর আবার রাজ্যের কংগ্রেস নেতারাও। যেখানে বিরোধীদেরই প্ররোচনায় চোখের জল ফেলছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী। সেখানে এই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে। উপরন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) যেখানে আইনি ও প্রশাসনিক পথে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, সেখানেও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে রাম-বামের অশুভ আঁতাঁত। তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত সভা থেকে যখন সমাধানের পথ দেখাবেন, তখন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলেই চিহ্নিত করে ফেলা হবে, হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখা হল শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে।

সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে নতুন পথের দিশা দেখানোর চেষ্টা করবেন তিনি। তার জন্য রাজ্যের একটি বড় অংশের শিক্ষক সমাজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সেখানেই চক্রান্ত করে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে তৎপর সিপিআইএম-বিজেপি (CPIM-BJP)। সেই সম্পর্কে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, আমাদের কাছে খবর আসছে সভায় একাংশ বিরোধী দলের (opposition party) মদতে প্ররোচনা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গণ্ডগোল (pre-planned chaos) সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। যে বিরোধী দল চায়নি এদের চাকরি থাকুক, যে বিরোধী দলগুলি চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করেছে তারা চায় না মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রাখবেন তা সবাই শুনুক।

কীভাবে নেতাজি ইন্ডোরে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা, তা নিয়ে কিছু ধারণাও পেয়েছে তৃণমূল। সেসম্পর্কে কুণাল ঘোষ বলেন, ছোট ছোট গ্রুপকে দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে অন্যভাবে প্ররোচিত করা হচ্ছে। একাধিক সূত্রে খবর এসেছে নানা প্রলোভন দেখিয়ে লোক ঢুকিয়ে গেটে গণ্ডগোল (chaos) করার চেষ্টা হচ্ছে। ছোট ছোট দল তৈরি করে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যাতে সাধারণ বিপদগ্রস্ত আছেন তাঁরা নির্বিবাদে শুনতে না পান, সেই চেষ্টা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় সিপিআইএম, বিজেপি, এখানকার কংগ্রেসের একাংশ যে বিশৃঙ্খলা তৈরির চক্রান্ত তৈরি করছে। এদের উদ্দেশ্য চাকরিহারাদের উদ্দেশে জট খুলতে যে বার্তা দেবেন সেটা যেন সুষ্ঠুভাবে না দিতে পারেন।

যদিও বিশৃঙ্খলাকারীদের জন্য কুণালের সতর্কবার্তা, আমাদের নজর থাকবে। প্রশাসনের নজর থাকবে। যদি কেউ ভিতর থেকে বিরক্ত করার চেষ্টা করে চিহ্নিত হয়ে যাবেন। করবেন না। তাহলে প্রমাণিত হয়ে যাবে আপনারা সমাধান চান না।

সেই সঙ্গে ত্রিপুরা ও লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ টেনে চাকরিহারাদের জন্য কুণাল ঘোষ বার্তা দেন, এই রাম-বামের চক্রান্তে ত্রিপুরার ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছিলেন। অক্সফোর্ডে এরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বাধা দিলে সেখানকার মানুষ ছয়পিসকে বের করে দিয়েছিল। সেখানেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনুরোধ করেন, সিপিআইএম-বিজেপির (CPIM-BJP) কথায় পা দেবেন না। এরা আপনাদের জট খুলতে আসবে না।