আপুইয়ার গোলে যুবভারতীর রং সবুজ-মেরুন, ফাইনালে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট

ছবি - দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল। সবুজ-মেরুণ যুবভারতীতে এদিন নায়কের নাম আপুইয়া(Apuia Ralte)। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দুর্ধর্ষ দূরপাল্লার শট। অ্যালবিনো গোমেজের নীরবের দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ২-০ গোলে জামশেদপুর এফসিকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পাকা করে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট(MBSG)। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে শুরু বাধনছাড়া উল্লাস। মোহনবাগান এবং ট্রফির মধ্যে এখন শুধুই ঠোঁট আর কাপের দুরত্ব।

জামশেদপুরে গিয়ে ১-২ গোলে হার। এগ্রিগেটে পিছিয়ে পড়েছিল হোসে মোলিনার(Jose Molina) দল। সেই ম্যাচে নাটকের কোনও খামতি ছিল না। মোহন সমর্থকদের আহত হওয়া। রক্ত ঝড়া। হারের পর এই সব ঘটনা গুলোই যে মোহনবাগান ফুটবলারদের ক্রমশ তাঁতিয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ম্যাচের আগের দিন সেই মনোভাবটাই সবার বেড়িয়ে আসছিল। সেটাই করে দেখাল সবুজ-মেরুণ ফুটবলাররা। একসময় ১-২ এগ্রিগেটে যারা পিছিয়েছিল, সেই মোহনবাগান(MBSG) ফাইনালে গেল ৩-২ এগ্রিগেটে। এই মোহনবাগানকে রোখা বোধহয় সত্যিই অসম্ভব।

ছবি – দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

ঘরের মাঠে খেলা। শুরু থেকেই গোল তুলতে মরিয়া ছিল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। কিন্তু খালিদও দুঁদে কোচ। রক্ষণাত্মক ছক সাজাতে বরাবরই তিনি পটু। এই ম্যাচে অতিরক্ষণাত্মক ছকই সাজিয়েছিলেন তিনি। মোহনবাগান যখন শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল, সেই সময় খালিদের দলের রক্ষণে কার্যত দশজন ফুটবলার। প্রথমার্ধে সেই বেড়া টপকাতে পারেননি কামিন্স(Jason Cummins), জেমি ম্যাকলরেন(Jamie maclaren), লিস্টন কোলাসোরা(Liston Colaco)। কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারছিলেন না তারা।

বিরতির পর অবশ্য আর বেশীক্ষণ মোহনবাগানকে(MBSG) আটকে রাখতে পারেনি খালিদের এই ছক। প্রণয় হালদারের একটা ভুল, পেনাল্টি উপহার মোহনবাগানকে। পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি জেসব কামিন্স। তাঁর গোলের সঙ্গেই যুবভারতীতে শুরু উচ্ছ্বাস। যদিও তখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি ডাগআউটে দাঁড়িয়ে থাকা মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। কারণ সরাসরি ফাইনালে যেতে হলে তখনও এক গোল দরকার।

আক্রমণ – প্রতিআক্রমণের খেলা তখন। মোহনবাগান সুযোগ পেলেও গোল করতে পারছে না। কামিন্সকে তুলে দিমিকে মাঠে নামান মোলিনা। আক্রমণ হলেও সেগুলো ফলপ্রসু হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল ১-০। খেলা অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার পরই আপুইয়ার(Apuia Ralte) জাদু। বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে জোরালো শট। মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত। ডাগ আউটে তখন বাধনছাড়া উচ্ছ্বাস স্প্যানিশ কোচেরও। এবার শুধুই ট্রফিটা তোলার অপেক্ষা।