এসএসসি চাকরিহারাদের নানাভাবে প্ররোচনা, অশান্তি বাধানোর প্রচেষ্টা যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে হচ্ছে, তা চাকরিহারা শিক্ষকরাও জানিয়েছিলেন। কোনওভাবেই তাঁদের জন্য সমাধানের পথ তো তারা দেখাতে পারেননি। উপরন্তু গোটা প্রক্রিয়াকে তাঁরাই শিক্ষক সমাজের জন্য জটিল করেছে, স্পষ্ট দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির (opposition parties) প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদন রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

অনেকে চক্রান্ত করছে, প্ররোচনা দিচ্ছে। কারও কথায় প্ররোচিত হবেন না। আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের মাথার উপর মা-মাটি-মানুষের সরকার আছে। কারও উপর অবিচার হবে না। আমরা অবিচার করতে দেব না। সোমবার নেতাজি ইনডোরে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কনভেনশন (convention) থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোজা সাপ্টা ভাষায় কোন রাখ-ঢাক না করেই তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জিকে বেইজ্জত করতে গিয়ে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নেবেন না, ওদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবেন না। মমতা ব্যানার্জিকে আপনারা সহ্য করতে পারেন না, তাই তাঁকে হাজার বার কুৎসা করতে পারেন। কিন্তু যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের প্ররোচনা দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ, মনে রাখবেন সুস্থ বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর। এই আঘাতের প্রত্যুত্তর আমরা ফিরিয়ে দেব। কাজের মধ্যে দিয়ে, সম্মানের মধ্যে দিয়েই আমরা এই চক্রান্তের জবাব দেব। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো এই কেস আমরা লড়ব।

যে বিজেপি এসএসসি-র রায় বেরোনোর পর থেকে রাজ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টায় রাজ্য বিজেপি। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বাংলাকে বদনাম করার কোনও পথ ছাড়েনি। সেই বিজেপির কথা স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা ত্রিপুরায় (Tripura) বলেছিল যাদের চাকরি গিয়েছে, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেব। ওদের ইস্তাহারে (manifesto) লেখা হয়েছিল। তাদের চাকরি দেয়নি। উল্টে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আম আর আমড়া, এক নয়। ওরা দুমুখো সাপ।


বিরোধী দলনেতা বারবার প্রকাশ্যে দাবি করেছেন ২০২৬ সালের পরে যোগ্যদের চাকরির ব্যবস্থা তাঁরা করে দেবেন। নেতাজি ইন্ডোরের কনভেনশন থেকে সেই প্রচারের জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বলছে ২৬-এ ভোটে পরাজয় হলে আমরা চাকরি করে দেব। যারা বলছেন তাদের একটা কথা বলি। আমায় যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করে, আমি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে জানি।


–

–

–

–
–

–
