রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এক কলমের খোঁচায় চাকরিহারা করে দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী যখন চোখের জল ফেলছেন, একমাত্র রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। চাকরির পথ খুলে সমাধান খোঁজার জন্য। আর সেই বাজারে বিরোধীরা ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে শিক্ষক সমাজের চোখের জলের মার্কেটিং করতে। তারই মধ্যে হঠাৎ চাকরিহারা শিক্ষক দরদী হয়ে মাঠে নেমেছেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। স্বভাবতই তিনি যে বিজেপিতে গিয়ে নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়ায় এই ইস্যুতে ফের ভেসে ওঠার চেষ্টা করছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না রাজ্যের শাসকদল।

মঙ্গলবার এসএসসি দফতরে (SSC office) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে চেয়ারম্যান না থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। তাতেও হাল ছাড়তে নারাজ অভিজিৎ। জানিয়েছেন তিনি বুধবার আবার আসবেন। সেখানেই চাকরিহারাদের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া অভিজিতের মুখোশ খুলে দিয়েছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অভিজিতের প্রচারের আলোয় আসার প্রয়াস দেখে কুণাল বলেন, তিনি যখন বিচারপতি ছিলেন তখন জটটা রেখেছেন কী বিজেপিতে এসে এটাকে ইস্যু করবেন বলে? যতদিন বিচারপতি ছিলেন না না অবসার্ভেশন দিয়েছেন, সমাধান করে দেননি কেন। তাহলে কী মাথায় ছিল, দুদিন বাদে বিজেপি যোগ দেব, এখন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) চেয়ার অপব্যবহার করি। তাতে জট পাকুক। বিজেপির সাংসদ হয়ে এসে তখন এটাতে ইস্যু করব।

সম্প্রতি হঠাৎই এসএসসি-র চাকরিহারাদের নিয়ে ‘ব্যথিত’ হতে দেখা গিয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর কুমিরের কান্নার পাশাপাশি শোনা গিয়েছে তিনি নাকি যোগ্য-অযোগ্য (tainted-untainted) বাছার ফর্মুলা জানেন। সেখানেই কুণাল ঘোষের দাবি, অভিজিৎবাবুর কাছে সত্যি যদি কোনও ফর্মুলা থাকে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে প্রকাশ্যে বলুন। মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ফর্মুলাটা বলুন।

কিন্তু তিনি তা করছেন না। তার কারণও স্পষ্ট করে কুণাল জানান, বিচারপতি থেকে যতটা প্রচারের আলোয় থাকতেন, সাংসদ হয়ে তত নিষ্প্রভ। চাকরি বিষয়টা ওনার রাজনীতির অন্যতম প্রচার। বিজেপি নেতা হিসাবে বাকি নেতারা সেভাবে সামনে আসতে দিচ্ছে না। এবার ওনার ক্ষেত্রে গিয়ে নিজের মতো করে ভেসে উঠতে চাইছেন।


–

–

–

–

–

–

–
