বাঙালির বিয়েতেও মাছের ব্যবহার আছে। সেখানে মন্দিরের পাশে বছরের পর বছর ধরে চিত্তরঞ্জন পার্কের (CR Park) মাছের বাজার নিয়ে মন্দিরের কোনও আপত্তিই থাকতে পারে না। মন্দিরের বাইরে চলছে হুক্কা-বার (Hookah bar)। তা বন্ধ না করে মাছ ব্যবসা বন্ধে ক্ষুব্ধ চিত্তরঞ্জন পার্কের মন্দিরের পুরোহিত। সেই সঙ্গে দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের নিরিখে কিছু মানুষের ব্যবসা বন্ধের প্রচেষ্টাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। আর দিল্লিতে এই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভের সঞ্চার হতেই বিজেপি নিজেদের থেকে এই হুমকির দায় ঝাড়ার চেষ্টা করেছে। যদিও পাল্টা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) দাবি, কোনওভাবেই ভিডিওগুলি বানানো হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।

সিআর পার্কের (CR Park) দক্ষিণা কালীবাড়ির পুরোহিত সঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এই মাছবাজার প্রথম থেকেই চলে আসছে, তাতে ডিডিএ-র (DDA) অনুমতি রয়েছে। বাঙালি সনাতনিদের পুজোর সঙ্গে মাছের কোনও বিরোধ নেই। বাঙালির অন্নপ্রাশন থেকে বিয়ে, সব অনুষ্ঠানে মাছের ব্যবহার রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমার কাছে মাছের বাজার (fish market) নিয়ে কেউ আপত্তি জানাননি। মাছের বাজার (fish market) নিয়ে যদি বন্ধ করার দাবি ওঠে, তাহলে মন্দিরের বাইরে যে হুক্কা-বার (hookah bar) চলে তা কেন বন্ধ হচ্ছে না, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সেই সঙ্গে পুরোহিত সঞ্জীব জানান, মাছ বাজার (fish market) বন্ধ হলে অনেক মানুষ বেকার হবেন। ইতিমধ্যেই দেশে ২ কোটির চাকরির স্বপ্ন দেখিয়ে আজও পূরণ হয়নি। এখন আবার এই ব্যবসায়ীদের পিছনে পড়ে গিয়েছে সবাই। মাছ তো গঙ্গা থেকেই ধরা হয়, সেই গঙ্গার জলেই তো সব পবিত্র হয়।

সাংসদ মহুয়া প্রকাশিত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে ঘটনার তদন্তে নামতে বাধ্য হয়েছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। যদিও বিজেপি নিজেদের দোষ সাংসদ মহুয়ার (Mahua Moitra) ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টায় দাবি করতে থাকে, এই ভিডিও চক্রান্ত করে তৈরি করা। পাল্টা মহুয়া স্পষ্ট দাবি করেন, কোনওভাবেই ভিডিও তৈরি করা নয়। তা যদি হত এতক্ষণে দিল্লি পুলিশ মহুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে ফেলত।


–

–

–

–

–

–

–
