আহত ৬ পুলিশকর্মী: সরকারি সম্পত্তি নষ্টে শিক্ষকদের কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের

সরকারি সম্পত্তি (public property) ধ্বংস হলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। আমরা চাই না এমন কোনও ঘটনা ঘটুক যাতে লাঠিচার্জের (lathicharge) মতো ঘটনা না ঘটে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও রাজ্য সরকার কোনও চাকরিহারা শিক্ষককে কাজ থেকে টার্মিনেট (terminate) করার পথে যায়নি। আইনি যে পথে সরকার এগোবে তাতে সঙ্গে রাখা হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদেরও। তারপরেও সরকারি অফিসে হামলা চালিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার বড় নজির বুধবার রাখলেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা (SSC teachers)। জোর করে একাধিক ডিআই অফিসে ঢুকতে গিয়ে ভাঙলেন সরকারি সম্পত্তি, গায়ে হাত তুললেন পুলিশের। এরপরেও রাজ্য সরকার শিক্ষকদের পাশে আছে, এমন বার্তা দিয়েও শিক্ষক সমাজকে সংযত আচরণ করার বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant, CS)। সেই সঙ্গে কসবা ডিআই অফিসে শিক্ষকদের মারধরের যে অভিযোগ পুলিশের উপর উঠেছে, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে এমন কথা জানান পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা (Manoj Verma, CP)। সেই সঙ্গে তিনি তথ্য পেশ করে বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার থেকেই অধৈর্য্য চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেয়। তবে বুধবারের তাদের ঘেরাও অভিযান একেবারে হিংসাত্মক চেহারা নেয় এক এক জায়গায়। আহত হন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) চার পুরুষ ও দুই মহিলা পুলিশকর্মী। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব দাবি করেন এই আচরণ কোনওভাবেই কাম্য নয়। চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের পাশে দাঁড়াতে সরকার যে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুল গুলির সঙ্কটের কথা তুলে ধরে ওই শিক্ষকদের আপাতত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তেমনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় পূনর্বিবেচনার আর্জিও জানানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ওই আবেদন সর্বোচ্চ আদালতের জমা দেওয়া হবে।

তারপরেও বুধবারের ঘটনায় বিনা প্ররোচনায় শিক্ষকদের আন্দোলন ও তার জেরে অরাজক পরিস্থিতি তৈরিতে শিক্ষকদের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। তিনি তাদের কোনও অভাব অভিযোগ বা আলোচনার প্রয়োজন থাকলে রাজ্য সরকার প্রস্তুত। উপযুক্ত জায়গায় অভিযোগ জানান। কিন্তু আন্দোলনের নামে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট মেনে নেওয়া হবেনা। সেই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, সকলকেই আইন শৃঙ্খলা (Law and order) বজায় রাখতে হবে। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। সরকারি সম্পত্তি (public property) ধ্বংস হলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। আমরা চাই না এমন কোনও ঘটনা ঘটুক যাতে লাঠিচার্জের (lathicharge) মতো ঘটনা না ঘটে।

মুখ্যসচিবের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ কমিশনারও (Commissioner of Police) উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। কসবার ঘটনা নিয়ে সিপি স্পষ্ট দাবি করেন, পুলিশ সব ভিডিও দেখেছে। একতরফের ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে চলেছে। শিক্ষকরা কতটা আইন ভেঙেছেন সরকারি সম্পত্তি নষ্টে তার ফুটেজও রয়েছে পুলিশের কাছে। যেখানে পুলিশকে আক্রান্ত হতে হল সেই ফুটেজও রয়েছে আমাদের কাছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের কোনও পদক্ষেপে অপ্রীতিকর কিছু থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। কেন পুলিশকে সেই পরিস্থিতিতে যেতে হল তাও খতিয়ে দেখা হবে।