Sunday, August 24, 2025

শুক্রবারই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে। প্রশাসনিক টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য সোমবারের মধ্যে রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফাইল করে দ্রুত এসএসসি (SSC) মামলায় যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি বহাল করা। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। এর আগেই বৃহস্পতিবার একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-সাংসদদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। তাঁদের মিছিলে নেতৃত্বও দিয়েছে সেই সব বাম-রাম নেতা। আবার অনশন মঞ্চেও সহানুভূতি দেখাতে তাদেরই দেখা গিয়েছে। সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই কী কিছু শিক্ষক আসল লড়াই থেকে সরে এসে ভুল পথে চালিত হচ্ছেন?

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কথা নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই পথে যে দ্রুত হাঁটতে চায় রাজ্য সরকার, তাও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাতারাতি টাস্ক ফোর্স (task force) গঠন করে। সেই টাস্ক ফোর্সের আইনজীবীদের সঙ্গে শিক্ষকদের কথা বলার পথ প্রশস্তও করে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে শিক্ষকরা যাতে নিজেদের মতামত রিভিউ পিটিশনের (review petition) আগেই জানাতে পারে, তার জন্য় শুক্রবারই এসএসসি দফতরে বৈঠক ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। গোটা লড়াইটাই আদালতে। তা সত্ত্বেও এসএসসি ভবনের বাইরে আচমকাই অনশন (hunger strike) মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত। অনশনে তিন চাকরিহারা শিক্ষক।

এই সিদ্ধান্তের পিছনেই রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছে শিক্ষকদেরই একাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরে নির্দিষ্ট স্কুলে গিয়ে পড়াচ্ছেন একটা বড় অংশের চাকরিহারা শিক্ষক। অন্য একটি অংশ পথে নেমে আন্দোলন করে শহরের হাওয়া গরম করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসএসসি যেখানে যোগ্য-অযোগ্য (tainted-untainted) বাছাই সম্ভব বলে জানিয়েছিল আদালতে, সেকথা শিক্ষকরাই তুলে ধরেছেন। তারপরেও এসএসসি দফতরের (SSC office) বাইরে বিক্ষোভে রাজনৈতিক প্ররোচনার ইঙ্গিত পাচ্ছে শিক্ষকদেরই একাংশ। অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নেতারা।

আইনি পথে লড়াই হবে, জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সেই মতো শুক্রবারের বৈঠকে শিক্ষকদের আট সদস্য যোগ দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল শিক্ষকদের তরফে। তারপরেও কেন অনশন, তাও এসএসসি-র (SSC) বিরোধিতায়, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। কার্যত শিক্ষকদের একাংশের অনশনের সিদ্ধান্ত বিভ্রান্ত ও বিপথে চালিত করছে একটা বড় অংশের চাকরিহারা শিক্ষকদের। আর বৃহস্পতিবার অতিবাম-বাম নেতাদের সঙ্গে মিছিলে হাঁটার পরেই আর জি কর-কায়দায় অনশনে বসায় স্বভাবতই রাজনৈতিক দলের দ্বারা চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ তুলছেন শিক্ষকদেরই একাংশ।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version