বিপুল অঙ্কের ঋণখেলাপি করে দেশছাড়া হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। ২০১৮ থেকে ২০২৫। সাত বছরে সে অর্থে মেহুল চোকসিদের দেশে ফেরানোর কোনও চেষ্টাই করেনি কেন্দ্রের সরকার। অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে মেহুল চোকসিকে। এবার কি তাঁকে দেশের প্রত্যর্পণে উদ্যোগী হবে সরকার? সেটাই প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, ভারতের অনুমোদন নিয়েই পলাতক হিরে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বেলজিয়াম। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি বেলজিয়ামের জেলে রয়েছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ যে, সরকারিভাবে মেহুল চোকসির গ্রেফতারের বিষয়টি এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। সিবিআই সূত্রে খবর, মেহুল চোকসি গ্রেফতারের পর জেলে ভাই যাতে রয়েছেন বেলজিয়ামে।

বিশেষ সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে স্ত্রী প্রীতির সঙ্গে বেলজিয়ামে যান মেহুল। তারপরেই কেন্দ্রের তরফে পলাতক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে দেশে ফেরাতে বেলজিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ২০১৮ ও ২০২১ সালে মুম্বই আদালতের দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বেলজিয়াম পুলিশ তাঁকে আটক করে। গ্রেফতারের পর মেহুলের বর্তমান ঠিকানা জেল। এখন দেখার ভারত সরকার তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারে কি না। কেননা গ্রেফতারের পর চটজলদি জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন মেহুল। একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখিয়েই জামিন চাইতে পারেন তিনি।

মোদি-রাজ্য গুজরাটের হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে বিরাট অঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারি অভিযোগ ওঠে ২০১৮ সালে। তারপরই ঋণ খেলাপি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান মেহুল। এরপর বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। অ্যান্টিগা, বারবুডা, ডমিনিকা, নানা দেশে ঘাঁটি গাড়ার পর, বেলজিয়ামে গিয়ে তিনি ধরা পড়লেন। কেন্দ্রের দাবি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য সে দেশে গেলেও পরে মেহুল চোকসি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ২০২১ সালে ডমিনিকা থেকে কিউবা পালানোর সময় একবার ধরা পড়েছিলেন। সেবারও তাকে ফিরিয়ে আনা যায়নি। এখন দেখার বেলজিয়াম থেকে মেহুল চকসিকে প্রত্যর্পণ করা যায় কি না।



–


–

–

–

–
–

–

–
–