বৈশাখেই বসন্ত, তেষট্টিতে নতুন ইনিংস শুরু করছেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবারে সকাল থেকে নজর বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির নিউটাউনের বাড়িতে। বৃহস্পতিতে পদ্ম নেতার বিয়ের খবর দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রের সকালে গেরুয়া শিবিরের ‘দাবাং’ নেতার বাড়িতে পৌঁছলেন সুকান্ত মজুমদার -লকেট চট্টোপাধ্যায়রা (Sukanta Majumder- Locket Chatterjee)। সাড়ে দশটা নাগাদ পৌঁছেছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষের বিয়ের ভোজ খাওয়ার আবদার অগ্নিমিত্রা পালের। সূত্রের খবর, বাড়িতেই ছোট করে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিয়ের রেজিস্ট্রি হবে। তাই সকাল সকালই নিউটাউনের বাড়িতে পৌঁছতে শুরু করেছেন নিমন্ত্রিতরা। রয়েছেন বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও।

লক্ষ্মীবারে সুখবর জানা গেলেও মুখ খুলতে নারাজ ছিলেন দিলীপ। তবে শুক্রবার সকাল থেকে চেনা মেজাজে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। জানালেন, মা পুষ্পলতা দেবীর ইচ্ছে ও উদ্যোগেই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তাঁর আদরের নাড়ু। প্রাথমিকভাবে জানা গেছিল দিলীপের বিয়েতে আপত্তি বিজেপির। জেপি নাড্ডার চিঠি থেকে আরএসএসের নিষেধ – কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল পদ্মনেতা। সুকান্ত এদিন বলেন, তাঁরা সবাই খুব খুশি তাই শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে এসেছিলেন। দিলীপের মাও খুব খুশি, মূলত তাঁর জন্যই বিয়েতে রাজি হয়েছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান সন্ধের দিকে শুরু হওয়ার কথা। সংঘ পরিবারের আপত্তি প্রসঙ্গে পদ্ম সাংসদ বলেন, প্রচারক পদে ততদিন ছিলেন যতদিন তিনি পার্টির নেতা ছিলেন না। তাই তিনি বিবাহ সম্পন্ন করতেই পারেন, কিন্তু উদাহরণ টানতে গিয়ে অটল বাজপেয়ী আর আদবানি ছাড়া তৃতীয় নেতার নাম নিতে পারলেন না সুকান্ত। অন্যদিকে বিরোধী নেতার বিয়ের খবরে শাসকদলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রসিকতা, ‘আর সকাল সকাল হাঁটতে বেরিয়ে বাইরে পেশী শক্তির আস্ফালন দেখাতে হবে না দিলীপকে।’ সন্ধ্যায় ঘরোয়া অনুষ্ঠান তাই সকাল থেকে ব্যস্ততা দিলীপের পাত্রী বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumder)বাড়িতেও।

–

–


–

–

–

–

–

–

–
