হিসেবে অসংগতি! জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের কাছে ৬ দফা প্রশ্ন রাখল অ্যাসোসিয়েশন

অভয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। পরিস্থিতির চাপে পড়ে নিজেদের আত্মসাৎ করা টাকার হিসেব দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি। তাঁদের নিজেদের কথারই যেন কোনও মিল নেই। তাঁরা যে হিসাব দিয়েছেন তাতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে।

টাকা তোলার জন্য ফ্রন্টের সদস্য চিকিৎসকরা অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের নম্বর দিয়েছিলেন। এবার প্রশ্ন হচ্ছে তাঁরা যে হিসেব দিয়েছেন তা ওই ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের হিসাব ধরে নাকি আলাদা?

আরও যে প্রশ্ন উঠছে তা হল, ফ্রন্টের সদস্যরা হিসেব দিয়েছেন অনশন মঞ্চের জন্য চার লাখ ৫৯ হাজার টাকা ধরনা মঞ্চের জন্য ছয় লাখ টাকা এবং মিছিল সমাবেশ করার জন্য চার লাখ টাকা নাকি খরচ হয়েছে। যদি সব টাকা আলাদা আলাদা ভাবেই খরচ হবে তাহলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে এত টাকা কেন দেওয়া হল?

ডেকরেটর্স, লাইট, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে মঞ্চ সবকিছুতেই আলাদা করে হিসেব দিয়েছে তারা। কিন্তু আবার ডেকরেটর্স কেউ তারা একটা বিপুল পরিমাণে টাকা দিয়েছে বলে দাবি করছে। এখানেই উঁকি মারছে অসঙ্গতি। আবার দেখা গিয়েছে অনেক সহৃদয় ব্যক্তি নিজেদের থেকে এসে খাবার জল দিয়েছেন সেক্ষেত্রেও তারা আবার আলাদা করে খাবার জলের হিসেব দেখিয়েছে এইভাবে দু’বার করে হিসেব দেখানোর ফলে একটা বৃহৎ পরিমাণ টাকা যে তাদের পকেট ভারী করেছে। সে বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার। এই খরচাগুলো তাহলে কেন করা হয়েছে? লোক ভাড়া করে কুৎসা রটানোর জন্য, নাকি রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করার ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত করার জন্য?

ফ্রন্টের অতি বিপ্লবী চিকিৎসকরা দাবি করছেন, আইনি লড়াইয়ের জন্য ৪৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা তাঁদের খরচ হয়েছে। কিন্তু এতদিন শোনা গিয়েছিল তাঁদের হয়ে আইনজীবী নাকি মানবিক কারণে বিনা পারিশ্রমিকে লড়েছেন। এরমধ্যে দিল্লিতে আইনজীবী কত টাকা নিয়েছে? রাজ্যের আইনজীবী কত টাকা নিয়েছে সেই হিসেবে কিন্তু ফ্রন্টের চিকিৎসকরা দিতে পারেননি। যেখানে রাজ্য প্রশাসন বিনা খরচে জয়নগর থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে কয়েকদিনের মধ্যেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে সেখানে কোন আইনি লড়াইয়ের জন্য এত বিপুল পরিমাণে খরচ হল ফ্রন্টের সেই হিসেব তাঁদের তুলে ধরতেই হবে। যেখানেই অতি বিপ্লবী চিকিৎসকরা বারবার বলতেন তাঁদের আইনজীবীরা মানবিকভাবে বিনা পরিশ্রমিকে কাজ করছেন তাহলে কোন খাতে তাঁরা এত টাকা কোন আইনজীবীকে দিলেন সেই নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কয়েকদিনের মধ্যে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে দোষীদের সেখানে কীভাবে তাঁরা এত টাকা আইনজীবীকে দিয়েও এখনও কোনও সুরাহা করতে পারলেন না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই প্রশ্ন তুলে তৃণমূুল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এখান থেকে স্পষ্ট ফ্রন্টের সদস্যরা মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।

আরও পড়ুন- দিলীপের সঙ্গে প্রচুর বিষয়ে মিল: বিয়ের খবরে সিলমোহর দিয়ে জানালেন রিঙ্কু

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_