সুপ্রিম কোর্ট দেশে ধর্মযুদ্ধ ছড়াচ্ছে! ‘মাস্টারের কম্য়ান্ডে’ নিশিকান্তর বক্তব্যকে কটাক্ষ মহুয়ার

কোনও পিটবুল (pitbull) নিজের প্রভুর আদেশ ছাড়া কাজ করে না। তবে বিচার ব্যবস্থার (judiciary) উপর বিজেপির এই ছদ্ম আক্রমণ যে গোটা দেশ দেখছে

বারবার বিরোধী রাজনীতিক থেকে মহিলাদের নিয়ে কুরুচিকর বক্তব্য পেশ করায় তিনি কুখ্যাত। একবারও তাঁর মুখ সেন্সর করার কথা ভাবেনি বিজেপি। এবার যখন সেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey) নিজের এক্রিয়ার ছাড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য পেশ করেছেন, তখন গা বাঁচাতে তার বক্তব্যকে সমর্থনের পথ থেকে সরে আসতে চাইছে বিজেপি। কার্যত তিনি যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই এই ধরনের বক্তব্য পেশ করেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। এই ধরনের অজ্ঞ গুণ্ডাদের হাতে দেশ চলা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)।

সম্প্রতি ওয়াকফ আইন (WAQF Amendment Law) নিয়ে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তাতেই বিজেপি নেতারা যে বেজায় খেপেছেন তা প্রমাণিত সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বক্তব্যে। দেশে ধর্মে ধর্মে বিভেদ লাগিয়ে রাজনীতি করা বিজেপির হাত থেকে সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব করা নিয়ে ওয়াকফ আইনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথে সুপ্রিম কোর্ট। আর সেখানেই নিশিকান্ত প্রশ্ন তুলেছেন, এই দেশে ধর্মযুদ্ধ (civil war) লাগানোতে কেবল মাত্র সুপ্রিম কোর্টই দায়ী।

এমনকি সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে তিনি ব্যাখ্যা দেন, সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব হল আমাকে তথ্য দাও। আমি আইন দেখাবো। সুপ্রিম কোর্ট নিজের সীমার বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সীমা হল, ভারতের সংবিধান যে আইন তৈরি করেছে সেই আইনের ব্যাখ্য়া করা। যদি সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনের ব্যাখ্যা না করতে পারে, সব কিছুর জন্য যদি সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয় তাহলে সংসদ (Parliament) বা বিধানসভার কোনও প্রয়োজন নেই। এসব বন্ধ করে দেওয়া দরকার। নিশিকান্তর এই বক্তব্যে কার্যত বেকায়দায় বিজেপি। দলের প্রধান জে পি নাড্ডা (J P Nadda) রাতারাতি বিবৃতি জারি করেন, এই বক্তব্যকে বিজেপি সমর্থন করে না। এই ধরনের বক্তব্য কখনই বিজেপি সমর্থন করেনি। তাঁর বক্তব্যকে দলীয় বক্তব্য হিসাবে অস্বীকার করার কথা জানান তিনি।

তবে নিশিকান্ত দুবে যদি দলের বক্তব্যের বাইরে বেরিয়ে এই ধরনের কথা বলেন, তাতে দল যদি কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তার থেকে প্রমাণিত হয় বিজেপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এই ধরনের আবমাননাকর বক্তব্যে। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, মনে রাখবেন, কোনও পিটবুল (pitbull) নিজের প্রভুর আদেশ ছাড়া কাজ করে না। তবে বিচার ব্যবস্থার (judiciary) উপর বিজেপির এই ছদ্ম আক্রমণ যে গোটা দেশ দেখছে সেটাই সুখের। বিচারপতিদের বেঞ্চের প্রতি নির্লজ্জ আক্রমণ। এটাই ভারতের সর্বনিম্ন পরিস্থিতি যেখানে এই ধরনের অজ্ঞ গুণ্ডাদের দ্বারা পরিচালিত হতে হচ্ছে।