সিপিএম-এ যৌন কেচ্ছা! সেলিমের মুখ চেয়ে রত্না, বংশগোপাল ষড়যন্ত্র তত্ত্বেই 

নারীঘটিত কেলেঙ্কারি পিছু ছাড়ছে না সিপিএমের। সুশান্ত ঘোষ, তন্ময় ভট্টাচার্যের এবার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ উঠল। সমাজমাধ্যমে দলেরই এক নেত্রীর সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার ‘অশ্লীল’ চ্যা ট প্রকাশ্যে (চ্যাটের সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ)। এই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি সিপিআইএমে-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দ্বারস্থ হয়েছেন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির প্রাক্তন কাউন্সিলর রত্না দাস। এখনও তাঁর ভরসা রয়েছে দলের উপর। আবার বংশগোপালের মত, এটা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র হয়েছে। দলের মধ্যে থেকেই বিরুদ্ধাচারণ হয়েছে। তিনিও বিষয়টি সেলিমকে জানিয়েছেন। দলের রাজ্য সম্পাদকের পরামর্শ মতোই চলছেন তিনি।

মঙ্গলবার, বিশ্ববাংলা সংবাদের কাছে বংশগোপাল চৌধুরী দাবি করেন, এই রত্না দাস নামের মহিলাকে তিনি চেনেনই না। কোনও কথাও হয়নি কোনওদিন। তাহলে, সব কথা খোলসা করে বলছেন না কেন? সাংবাদিক বৈঠকই বা কেন করছেন না? অভিযোগ দায়ের করেলেন না কেন? এসবের উত্তরে প্রাক্তন সাংসদের একটাই কথা, তিনি মহম্মদ সেলিমের পরামর্শে চলেছেন। দিন কয়েকের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে সব প্রকাশ করবেন।

বংশগোপালের আরও দাবি, তিনি না কি এই রত্না দাসকে চেনেন না। তাহলে, চ্যাট হল কী করে? সিপিএম নেতার দাবি, কোনও ভাবে নম্বর পেয়ে ওই মহিলা নেত্রী এই সব করেছেন! কিন্তু উত্তরগুলি! বংশগোপাল বলছেন, সব জানাবেন কয়েকদিন পরে সাংবাদিক বৈঠকে।

সত্যিই কি তাঁকে চেনেন না বংশগোপাল? বিশ্ববাংলা সংবাদ- এই প্রশ্ন করলে রত্না জানান, হ্যাঁ ঠিক। তাঁর সঙ্গে বংশগোপালের সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর ফেসবুক পোস্ট দেখে ফেসবুক মেসেঞ্জারে স্তুতি করতেন বংশগোপাল। জেলা নেত্রী তাতে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এর পরেই শুরু হয় মেসেঞ্জারে অশ্লীল মেসেজ-অভিযোগ রত্নার। এটা কি সত্যিই চেনা সিপিএম নেতা? রত্না বলেন, সেটা পরখ করতেই না কি হোয়াটস আপ নম্বর চান তিনি। এরপরই অশ্লীল মেসেজের বন্যা। আর সেটা সদ্য নয়, সূত্রপাত নভেম্বরে। তখনই দলকে জানান রত্না। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে যোগযোগ করেন সিপিএম নেত্রী। সেলিম তাঁকে বলেন, তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

এতদিন ধরে কেন বসে আছেন রত্না? তাঁর মতে, দেখতে চাই মহিলাদের সম্মান রক্ষায় দল কী করে! দীর্ঘ তিরিশ বছরের বেশি সিপিএম করেন। দলের প্রতি এখনও তিনি আস্থাশীল। কিন্তু সেটা কতদিন থাকবে? জানাতে পারছেন না রত্না।

আর বংশগোপাল বলছেন সেলিমের পরামর্শেই স্যোশাল মিডিয়ায় মুখ খুলছে না তিনি। তবে, সাংবাদিক বৈঠক করবেন দু-তিনদিনের মধ্যেই। আর সেলিম না কি তাঁকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাহলে, কমরেড সেলিম কী বরের ঘরের মাসি, কনের ঘরের পিসি! দু তরফে আশ্বাস দিয়ে নিজে বসে আছেন। এর আগে সুশান্ত ঘোষ বা তন্ময় ভট্টাচার্যের বেলায় যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে, সেটা বংশগোপাল বা রত্নার বেলায় নীরব কেন! প্রশ্ন সব মহলের।

আর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “দেখুন বংশগোপাল চৌধুরী সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী এবারও তো রাজ্য সম্মেলনে আলো করে বসেছিলেন। তো এই বংশগোপাল চৌধুরীর যেসব জিনিস বেরিয়েছে দেখা গেলো ভদ্র মহিলা যা অভিযোগ করেছেন একটা কুৎসিত সব কথাবার্তা বেরিয়েছে, এটা তো সিপিএমের কালচারে পরিণত হয়েছে। সুশান্ত ঘোষের খাটের ভিডিও বেরিয়ে গেলো। কে কার কোলে বসে পড়লেন, বংশগোপাল চৌধুরী কাকে নিজের চ্যাট পাঠাতে গিয়ে নিজের পিছনে বংশ দণ্ড নিলেন।“

আরও পড়ুন – সকলের ধর্মীয় অনুভূতিকে মর্যাদা দিয়েই দিঘায় জগন্নাথধাম! বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

_

 

_

 

_

 

_

 

_