অর্থসাহায্যের সবটা যেন বিতানের স্ত্রীকে না দেওয়া হয়! কেন এমনটা বললেন কুণাল?

কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে বিতান অধিকারীর। পাটুলির বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর কফিনবন্দি দেহ বুধবার রাতে কলকাতায় ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মাঝে। প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তাঁর স্ত্রী সোহিনী ও সন্তান। তবে এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি সোহিনী। বারবার কেঁপে উঠছেন দুঃস্বপ্নে। চোখের জলে ভেসেছেন বিমানবন্দরে, সন্তানের মুখ আঁকড়ে ধরে।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে রাজনীতির উত্তাপ। বিতানের পরিবারকে ইতিমধ্যেই আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু সেই অর্থ পুরোপুরি শহিদ-পত্নী সোহিনী অধিকারীর হাতে না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কিন্তু কেন এমন পোস্ট করলেন কুণাল?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে কুণাল লেখেন, “‘প্রথমে টিভিতে বাইট: হিন্দু মুসলমান বেছে মারেনি। পরে বিজেপি নেতাদের সামনে: হিন্দু বলে মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের প্রশাসনের অন্তত কুড়িটি ফোন। ফেরার সব সাহায্য। ফিরে বিজেপির সামনে: আপনাদের ভরসায় ফিরেছি। এখন শোকের বাতাবরণ। তাই অপ্রিয় প্রশ্ন তুলছি না। বাড়াবাড়ি রাজনৈতিক দ্বিচারিতার নাটক, শেখানো সংলাপে বিষ ছড়ানো দেখলে বলবই। যিনি যা মনে করেন, করবেন।’ একই সঙ্গে মৃতের বাবা-মাকেও আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন কুণাল। লেখেন, ‘মৃতের বাবা মা অসহায়। ছেলে নেই। পুত্রবধূ তাঁদের কাছে থাকতেন না, দেখতেন বলে খবর নেই। কলকাতাতেই অন্যত্র থাকতেন। বাবা মা অনিশ্চয়তায়। প্রয়াত বিতান অধিকারীর পরিবারের জন্য দুই সরকার যদি কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন, তা যেন শুধু পুরোটা স্ত্রীকে দেওয়া না হয়। বিতানের বৃদ্ধ বাবা মায়েরও সাহায্য দরকার। ওঁদের পরিবারের যা সমীকরণ, তাতে এই দুজন ঘোরতর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।’

তবে এই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও শহিদ অমিতাভ মালিক ও ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের মৃত্যুর পর তাঁদের পরিবারকে কেন্দ্র করে এমনই বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। শহিদদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে সবসময়ই দেখা দেয় প্রশ্নচিহ্ন। সেই প্রেক্ষিতেই হয়তো কুণাল ঘোষের মন্তব্য, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন- প্রশ্ন বিজেপির নোংরা রাজনীতি নিয়ে! পহেলগাঁও ইস্যুতে সরকারের পাশেই তৃণমূল, সর্বদল বৈঠকে বললেন সুদীপ

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_