কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahelgam attack) ২৬ নিরীহ পর্যটককে ধর্মের ভিত্তিতে বেছে বেছে খুন করার পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লস্করের শাখা সংগঠন TRF। পাল্টা প্রত্যাঘাত দিতে তৈরি ভারত। ইতিমধ্যেই ভূস্বর্গের একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২২ এপ্রিলের হামলার অন্যতম পান্ডা মুজাহিদিনের (Mujahideen) বাড়ি ভেঙে দিতেই ভারতীয় সেনার (Indian Army) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সন্দেহভাজন জঙ্গির বোন। নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে তাঁর প্রশ্ন কেন এভাবে তাঁদের ঠিকানাহীন করে দিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া তাঁর এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসতেই পাল্টা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি নিজের ‘সন্ত্রাসবাদী’ ভাইয়ের কীর্তি কিছুই জানতেন না এই মহিলা, নাকি তাকে সমর্থন জানিয়ে ভারত বিরোধিতা মুজাহিদিনের বোনের!

ভূস্বর্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি ভারতীয় সেনার। পাশাপাশি পহেলগ্রাম কাণ্ডের অভিযুক্ত এবং মূলচক্রীদের ধরতে কড়া অ্যাকশন চালাচ্ছে সেনা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যেভাবে ধর্ম যাচাই করে অবলীলায় খুন করা হয়েছে পর্যটকদের ঠিক সেভাবেই বেছে বেছে ধ্বংস করা হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের বাড়ি। অভিযুক্ত ‘মুজাহিদিনের’ বোন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ত্রালে তাঁদের বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘নির্দোষ’ হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছে করে তাঁদের টার্গেট করছে ভারতীয় সেনা। তিনি জানিয়েছেন, উর্দি পরা এক ব্যক্তি বাড়ির উপরে বোমা জাতীয় কিছু রেখেছিল। এরপর বাড়িটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সন্দেহভাজন জঙ্গির বোনের কথা অনুযায়ী, “আমার এক ভাই জেলে আছে, আরেক ভাই ‘মুজাহিদিন’ এবং আমার দুই বোনও আছে। আমার মা-বাবা আছেন। পরশু থেকেই আমার পরিবারের লোকজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিন্তু আমি জানতাম না। আমি শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম, আমি কিছুই জানতাম না। আমাকে আজ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে বলে আমি পরিবারের লোকজনকে ফোন করে জানিয়েছিলাম যে আমি আসব। যখন আমি শ্বশুরবাড়ি থেকে এখানে এলাম, তখন আমি আমার বাবা-মা এবং ভাই-বোনদের তাদের বাড়িতে পেলাম না । সন্ধে ৬টায় পৌঁছে আমি এখানে কাউকে পেলাম না। পুলিশ বাড়ির সকলকে নিয়ে গেছে। আমার মাকেও নিয়ে গেছে, আমার দুই বোন এবং আমার বাবাকে তিন দিন আগেই নিয়ে গেছে। যখন আমি এখানে বসে ছিলাম, তখন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা এসে আমাদের সকলকে বাড়ির বাইরে বের করে দিল।”

গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে যে মুজাহিদিন পহেলগাম কাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন। ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে ভোট চালানো হচ্ছে। মুজাহিদিনের বোনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ এপ্রিল বৈসরণ উপত্যকায় নিরীহ পর্যটকদের উপর যেভাবে খুন করা হয়েছে তার সঙ্গে ‘সন্দেহভাজন জঙ্গি’র যোগাযোগ সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন কিনা। ওই মহিলার চাপ জানান, “আমরা কিছুই জানি না। এটা সরকারের কাজ যে তারা আমার ভাইকে ধরবে। কোথা থেকে ধরবে তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা পরিবারের লোকজন নির্দোষ।”

–

–

–

–

–

–

–

–

–
