কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে রিসর্টে ঘটা ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে। পুলওয়ামার পর এটিই জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি আক্রমণ। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, যাঁদের মধ্যে তিনজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে লস্কর-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। জানা গেছে, হামলাকারীদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, হামলার আগে জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে রিসর্টে ঢোকে এবং ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে নিশানা করে অমুসলিমদের। আচমকা গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। অন্তত ৪০ রাউন্ড গুলিচালনার খবর মিলেছে স্থানীয় সূত্রে। হামলার মুহূর্তে রিসর্টে থাকা পর্যটকরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন।

এনআইএ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। শনিবার কলকাতায় এসে বেহালার মৃত সমীর গুহর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা এবং প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে কথা বলেন। রবিবার পুরুলিয়ার বৈষ্ণবঘাটা এলাকায়, নিহত বিতান অধিকারীর বাড়িতেও যান এনআইএ-র আধিকারিকরা। মৃতের স্ত্রী সোহিনী অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মঙ্গলবার ঠিক কী ঘটেছিল? কত জন জঙ্গি রিসর্টে ঢুকেছিল? গুলি চালানোর আগে কী বলেছিল তারা? এ সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে এনআইএ। সম্ভবত আগামীকাল পুরুলিয়ার আরেক শহীদ মণীশরঞ্জন মিশ্রর পরিবারকেও সাক্ষাৎকার নেবে তদন্তকারী দল।

কাশ্মীরের শান্ত পরিবেশে এমন ভয়ানক হামলা নতুন করে প্রশ্ন তুলছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। নিরাপত্তা জোরদার করতে ইতিমধ্যেই এলাকাজুড়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – যত বিক্রম ভারতে! জঙ্গিদের বাড়ি উড়িয়ে দেশবাসীকে নাচানোয় কটাক্ষ তৃণমূলের

_

_

_

_

_

_

_
