সাতদিনেও পদক্ষেপ শূন্য! প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জরুরি প্রতিরক্ষা বৈঠক

সেনাবাহিনীর পূর্ণ স্বাধীনতায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (surgical strike) পথে গিয়েছিল ভারত, তার থেকে অবশ্য অনেকাংশে আলাদা মঙ্গলবারের পূর্ণ স্বাধীনতা (free hand)

কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দেওয়াতেই ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সাতদিনেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান বয়কটের জিগির তুলেও যে শেষরক্ষা হবে না কার্যত বুঝে গিয়েছে মোদি সরকার। তাই ঘন ঘন বৈঠক করে সমন্বয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। রবিবারের পরে ফের নিজের বাসভবনে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভাল (Ajit Doval)। এছাড়াও তিন সেনাপ্রধান সহ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) অনিল চৌহানও উপস্থিত ছিলেন।

তবে শুধুই নিরাপত্তা সংক্রান্ত নয়, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) সঙ্গেও। পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) পরে বিভাজনের রাজনীতির প্রচার চালিয়ে ছিল বিজেপির একটি অংশ। যদিও সাধারণ মানুষ, এমনকি কাশ্মীরের মানুষ যেভাবে হামলার ঘটনার নিন্দা করে পথে নেমেছিলেন, তাতে ধর্মীয় বিভাজনের ইস্যু কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে বিজেপির। সেই জায়গা থেকে মঙ্গলবার মোদী ও ভাগবতের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে সেনাবাহিনীর যেকোনো পদক্ষেপে পূর্ণ স্বাধীনতার (free hand) বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। পুলওয়ামা (Pulwama attack) পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেভাবে সেনাবাহিনীর পূর্ণ স্বাধীনতায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (surgical strike) পথে গিয়েছিল ভারত, তার থেকে অবশ্য অনেকাংশে আলাদা মঙ্গলবারের পূর্ণ স্বাধীনতা (free hand)। সেবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (surgical strike) আগে চরম গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছিল। যা এবারের পদক্ষেপে একেবারেই উল্টো।

মঙ্গলবারের বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কাশ্মীরের নিরাপত্তা বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতির বিস্তারিত পেশ করা হয় প্রধানমন্ত্রী সামনে। প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আস্থা প্রকাশ করেন, তেমনই পহেলগাম জঙ্গি হামলার পাল্টা কড়া বার্তা দেওয়ার কথা জানান। বর্তমানে গোটা দেশ একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী কড়া বার্তার কথা শুনেছে। এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে কূটনৈতিক পদক্ষেপ ছাড়া পাকিস্তানের মদতে হওয়া জঙ্গি হামলার পাল্টা কড়া পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যায়নি।