রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (Chinmaykrishna Das) অবশেষে জামিন দিতে বাধ্য হল বাংলাদেশ হাইকোর্ট (Bangladesh High Court)। তবে এই জামিনের বিরোধিতা করতে পারে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার জামিনের (bail) রায় বেরোলেও বৃহস্পতিবারের আগে জেল থেকে চিন্ময়ের বেরোনো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন বাংলাদেশের সরকারি ছুটি। তার ফলে আদৌ জামিন পেয়ে জেলের বাইরে আসতে পারছেন কিনা তিনি, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। বাংলাদেশ এর আগেও এভাবেই নানা পন্থা ধরেছিল জামিনের শুনানি হওয়া আটকাতেই। জামিনের পরে জেল মুক্তিতেও যে বাধা তৈরি করা হবে, তা বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশে ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও তার প্রতিবাদে মুখ বন্ধ করার রাজনীতি চলেছে, তার সর্বোচ্চ উদাহরণ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmaykrishna Das) গ্রেফতারি। নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে কোনওভাবেই যাতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মামলার শুনানি না হতে পারে তার চেষ্টা করে গিয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদী আইনজীবীদের একাংশ। আদালতে মারধর থেকে চিন্ময়ের আইনজীবীর (lawyers) উপর প্রাণঘাতী হামলা, কোনও পথই বাকি রাখেনি স্বৈরাচারি বাংলাদেশ শাসক।

এরপরেও ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে চিন্ময়ের। এরপরই তাঁর আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট ফেব্রুয়ারিতে রুল জারি করে বিরোধী আইনজীবীদের কাছে জানতে চায়, কেন জামিন পাবেন না চিন্ময়। ২৩ এপ্রিল সেই মামলার শুনানি হলেও তা পিছিয়ে ৩০ এপ্রিল হয়। সেই মামলাতেই বুধবার জামিন (bail) না দেওয়ার কোনও ন্যায্য কারণ দেখাতে পারেনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীরা।

তবে আগামী তিনদিন বাংলাদেশে জাতীয় ছুটি। ফলে তিনদিন যে জেলের বাইরে বেরোনো সম্ভব হবে না চিন্ময়ের পক্ষে তা নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার, হাইকোর্টের বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মহম্মদ আলি রেজার ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া জামিনের বিরোধিতাই করবে, সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে তিনদিনের পরেই সেই পাল্টা মামলা হয়ে গেলে ফের একবার জামিন স্থগিত হয়ে যেতে পারে, আশঙ্কা করা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
