বাংলাকে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করে রাজনৈতিক ফায়দাতেই যে একমাত্র কাজে লাগায় কেন্দ্রের মোদি সরকার, তা ফের একবার প্রমাণিত বড়বাজারে আগুনের (Burrabazar fire) ঘটনায়। যে কেন্দ্রের সরকার পহেলগাম হামলার মতো ঘটনায় কোনও আর্থিক সাহায্যে দেশের মানুষের জন্য তুলে দেননি, সেই প্রধানমন্ত্রী তড়িঘড়ি কলকাতার একটি আগুন লাগার ঘটনায় আর্থিক সাহায্য়ের ঘোষণা করে যে বাংলায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছেন তা স্পষ্ট, দাবি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। অন্যদিকে রাজ্যের মানুষ যে কোনওভাবে বিপদে পড়লে যেভাবে সবরকম সহযোগিতা করে পাশে দাঁড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee), সেভাবেই তিনি মেছুয়ার আগুনের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন।

মঙ্গলবার রাতে মেছুয়ার (Mechua) হোটেলে আগুন লাগার পর থেকে সারারাত সেই ঘটনার উপর দিঘা থেকে নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই ঘটনায় পুলিশ ও দমকল কর্মীদের তৎপরতার প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ৯৯ জন মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে দমকল ও পুলিশের প্রচেষ্টা প্রশংসার যোগ্য। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষ যেভাবে উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছেন তার জন্যও তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।

দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুতে সব রকমভাবে যে রাজ্যের প্রশাসন পাশে রয়েছে, সেই আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে আমার কাছে খবর এসেছে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা দমবন্ধ হয়ে বা ঝাঁপ দিয়ে মারা গিয়েছেন। পরবর্তী তদন্তও চলছে। রাজ্য সরকার নিহতদের নিকটাত্মীয়দের এককালীন ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে।

সম্প্রতি পহেলগামে জঙ্গি হানায় (Pahalgam attack) মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য়ের তিন মৃতের পরিবারকে রাজ্যের সরকার সাহায্য ঘোষণা করেছে। জঙ্গি হানার পরে দেশরক্ষায় শহিদ নদিয়ার জওয়ানের পরিবারের পাশেও আর্থিক সাহায্য নিয়ে এভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ এত বড় ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক প্যাকেজ (financial package) ঘোষণা করে পাশে দাঁড়ানোর কথা মনে পড়েনি কেন্দ্রের মোদি সরকারের। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে মঙ্গলবার রাতে আগুনের ঘটনা (Burrabazar fire) ঘটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘটা করে মোদির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণায় রাজনীতি দেখছে শাসকদল তৃণমূল।

সরকারি নিয়ম মেনে মৃতদেহ পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। আর সেই সাহায্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাড়াহুড়ো করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণায় বাংলায় রাজনীতির ইঙ্গিত স্পষ্ট। কাশ্মীরের ঘটনায় যে পর্যটকদের মৃত্যু হয়েছে বা বাংলার যে সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ কই। ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোন রকমের রাজনীতি করতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু শেখাতে হবে না।

Continuing to monitor the fallout of the unfortunate fire incident at a private hotel (Rituraj) in the Burra Bazar area and appreciate the Fire Services’ and police efforts in rescuing around 99 persons from out of most adverse circumstances.
Also thankful to the local people…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 30, 2025
–

–

–

–

–

–
