টানা ঝড় বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী, বাংলাতেও রবিবার পর্যন্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস 

0
181

এক নাগাড়ে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার দাপটে কার্যত বিপর্যস্ত দিল্লিসহ এনসিআর (Delhi NCR)। রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকায় ঝড় বৃষ্টির দাপটের জেরে চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা। জলমগ্ন রাস্তায় ব্যাহত যান চলাচল। IMD সূত্রে জানা গেছে, ভোরবেলা প্রগতি ময়দান এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার।দ্বারকায় (Dwarka ) ঝোড়ো হাওয়ায় একটি ঘর ভেঙে মৃত্যু তিন শিশুসহ এক মহিলার। রাজধানীতে মিনি ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বিমান পরিষেবার সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। আরকে পুরম, লাজপত নগর এবং দ্বারকা সম্পূর্ণ জলের তলায়। দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi Airport) ৩ নম্বর টার্মিনালে একটি লোহার কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ৯০টি বিমান দেরিতে চলছে এবং ৪২টি ফ্লাইটকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

পশ্চিমবঙ্গেও ঝড় বৃষ্টির দুর্যোগ বাড়বে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কিছু জায়গায় কালবৈশাখীর দাপট সঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাত এবং ঝড়ের দাপটে কলকাতা এবং শহরতলির বিস্তীর্ণ অংশে গাছ পড়েছে, জলমগ্ন হয়ে যায় একাধিক এলাকা। রাতের দিকে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। শুক্রবার সকালে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও দুপুরের পর আবহাওয়া বদল এর পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Alipore Weather Department)। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় আজও বৃষ্টি হবে। শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার গতি হতে পারে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। রবিবার পর্যন্ত পারদ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও সোমবার থেকে উষ্ণতা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা রয়েছে।