একটা সময় নারী শিক্ষায় রাজ্যের অবস্থান ছিল তলানিতে। আজও দেশের, বিশেষত উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে নারী শিক্ষার হার লজ্জাজনক। সেখানে বাংলায় একের পরে এক পরীক্ষায় ছাত্রদের থেকে বেশি সাফল্যের মুখ দেখছে ছাত্রীরা। শুক্রবার মাধ্যমিকের (Madhyamik Examination) ফলাফলেও দেখা গিয়েছে মেয়েদের সাফল্য। আর শনিবার মাদ্রাসার (Madrasah Examination) ফলাফলেও মেয়েদের একই সাফল্যের ছবি। মেধাতালিকার প্রথম ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনই ছাত্রী।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মাথায় শনিবার প্রকাশিত হল মাদ্রাসার ফল। এবারের মাদ্রাসার পরীক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যাও বেশি ছিল। ঠিক তেমনই তাদের পাশের হারও (percentage of success) অনেক বেশি। এই বছর হাই মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৭৩ জন। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৪২০ জন ছাত্র ও ২৮ হাজার ৬৫৩ জন ছাত্রী ছিল। মোট পাশ করেছে ৩৯ হাজার ৮০৬ জন। তারমধ্যে ১৩ হাজার ৯৭৫ জন ছাত্র এবং ২৫ হাজার ৮৩১ জন ছাত্রী কৃতকার্য হয়েছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ফাহমিদা ইয়াসমিন এবং শাহিদা পারভিন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দ্বিতীয় স্থানে মালদা চাঁচলের শামসুন নেহার (৭৭৬)। আলিফ নুর খাতুন ৭৭২ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। অর্থাৎ মেধাতালিকার প্রথম চারে নেই কোনও ছাত্র। যেভাবে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ছাত্রীদের পড়ায় উৎসাহ যুগিয়েছেন, এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও একাধিক প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনার পথ সহজ করেছেন, তাতে শিক্ষাঙ্গনে ফিরেছেন ছাত্রীরা। আর ফিরেই নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পেরেছেন।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–
