মোহনবাগানের নির্বাচনে(Mohunbagan Election) সৃঞ্জয় বোসের(Srinjoy Bose) হয়েই এবার প্রচারে টুটু বোস(Tutu Bose)। পরিবারে ভাঙনের অভিযোগ থেকে লোভ, মোহন সচিবের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েই কার্যত নির্বাচনের ময়দানে নেমে পড়লেন টুটু বোস(Tutu Bose)। কয়েকদিন আগেই মোহনবাগানের(Mohunbanagn) সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন আবহে সেই থেকেই জল্পনাটা বাড়তে শুরু করেছিল। তবে কার পক্ষে হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চলেছেন টুটু বোস? শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি। এবার দেবাশিস দত্তের(Debashis Dutta) শিবিরের বিরুদ্ধে সৃঞ্জয় বোসের পাশে টুটু বোস।

একইসঙ্গে এখান দিলেন হুঙ্কারও। পরিবার যেমন ভাঙতে দেবেন না, তেমন নির্বাচনেও জিততে মরিয়া। বর্তমানে মোহনবাগান(Mohunbagan) সচিবের বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সদ্য প্রাক্তন সভাপতি। পরিবারে ভাঙনের অভিযোগও তুললেন তিনি। সৃঞ্জয় বোসের(Srinjoy Bose) পাশে থেকেই এবার লড়াইয়ের ডাক টুটু বোসের।
তিনি জানিয়েছেন, “মিত্র পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার বসু পরিবারকে ধ্বংস করতে গিয়েছে। কিন্তু একটু তা়ড়াহুড়ো করে ফেলেছে। আমি মারা যাওয়ার পর সেটা করা উচিত্ ছিল। আর এই তাড়াহুড়ো করার জন্যই এখন আমি অনেক বেশি সাবধান হয়ে গিয়েছি। এবার সকলে দেখে নেবেন কী হয়। আমি সৃঞ্জয় বোসের সঙ্গে একসঙ্গে নির্বাচনী লড়াই করব বলেই তো ইস্তফা দিয়েছি। আমি বলব সৃঞ্জয়কে ভোট দেওয়া মানেই টুটু বোসকে ভোট দেওয়া। এতবছর ধরে যদি কিছু করে থাকি আমি হাতজোড় করে ভিক্ষা চাইছি এবার টুটু বোসকে ভোট দিন, সৃঞ্জয় বোসকে ভোট দিন”।

নির্বাচনী প্রচার যে এদিন থেকেই কার্যত টুটু বোস(Tutu Bose) শুরু করে দিলেন তা স্পষ্ট। সেইসঙ্গে নাম না করে দেবাশিস দত্তের বিরুদ্ধেও কিন্তু একের পর এর অভিযোগও শোনা গেল টুটু বোসের মুখ থেকে। দুপক্ষের মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা যে হয়েছে তা বলতে দ্বিধা নেই তাঁর। তবুও নির্বাচনী শেষ অস্ত্র হয়ে দাঁড়াল। এই প্রসঙ্গেও টুটু বোস জানিয়েছেন,

“আমি চেষ্টা করিনি কে বলেছে। কিন্তু কারোর লোভটা এমন জায়গায় চলে গেছে, নাম করব না কিন্তু লোভ এমন জায়গায় চলে গেছে সে আর এপাশ ওপাশ কিছুই দেখছে না”।

নির্বাচন আবহে আরও একটা গুঞ্জন কিন্তু কান পাতলেই বারবার শোনা যাচ্ছে। সৃঞ্জয় বোসের বিরোধী শিবিরেই কী তাঁর ছোট ভাই। এই নিয়েও এবার সোজাসাপ্টা উত্তর টুটু বোসের। তাঁর সংসারে ভাঙন ধরবে না।

তিনি জানিয়েছেন, “আমি আমার ছোট ছেলের সঙ্গে কখন কথা বলব এবং কী কথা বলব সেটা একেবারেই আমার স্ট্র্যাটেজি। দ্বিতীয় কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার সংসারে ফাটল ঢোকাতে পারবে না। এটা টেপ করে রেখে দাও। যদি এমনটা হয় আমায় বিষ মিশিয়ে দেবে, আমি বিষ খেয়ে নেব। যদি আমার সংসারে ফাটল কেউ ঢোকাতে পারে”।

তিনি আরও জানান, “আমার ছোট ছেলে বিরোধী শিবিরে থাকবে না। সৃঞ্জয় আর আমি নির্বাচনে দাঁড়াবো আর আমার ছোট ছেলে বিরোধী করবে এটা দুঃস্বপ্নেও ভেবো না। একটা ভুল করিয়ে দিয়েছে কেউ”- নাম না করে এখানেও যে সেই মোহনবাগান সচিবের দিকেই তাঁর অভিযোগের আঙুল তাও বেশ স্পষ্ট।

এই নিয়ে অবশ্য এদিন সৃঞ্জয় বোস এবং দেবাশিস দত্ত, দুজনই মুখ খুলতে নারাজ। তাদের দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এই বিষয়ে তারা এদিন কিছু বলবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন।

নির্বাচনী(Mohunbagan Election) দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এই শনিবার থেকেই কার্যত আসরে নেমে পড়লেন টুটু বোস। দেবাশিস দত্তের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেই শুরু করে দিলেন তাঁর নির্বাচনী প্রচার। দিন যত এগিয়ে আসছে মোহনবাগানের নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ চড়তে শুরু করেছে। কিন্তু টুটু বোসের একটাই কথা, “টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়”।

–

–

–

–

–