বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেলে রেখেই কী সংখ্যালঘু প্রতিবাদীদের বার্তা দিতে চাইছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন, রবিবার সেই প্রশ্ন ফের একবার উঠল। জামিন পাওয়ার পরও কৌশলে জেল থেকে বেরোতে দেওয়া হল না চিন্ময় প্রভুকে (Chinmay Krishna Das)। যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত বাংলাদেশে (Bangladesh) যে স্বৈরাচারী শাসন জারি রয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে কোনও কাজ সম্ভব নয়, তা ন্য়ায্য হলেও। রবিবারও কোনও না কোনও অজুহাতে জামিনের (bail) পাল্টা রাষ্ট্রের দায়ের করা মামলার শুনানি হল না। সোমবার ফের পরবর্তী শুনানির দিন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য যে চিন্ময় দাস জেলবন্দি থেকে গেলেন তা বলা বাহুল্য।

৩০ এপ্রিল বাংলাদেশে হাইকোর্টে (Bangladesh High Court) জামিন পান চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। পাঁচমাস জেলে থাকার পরে জেলমুক্তির যে সম্ভাবনা বুধবার তৈরি হয়েছিল, তা সন্ধ্যাতেই অন্ধকারে চলে যায়। জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টে (Bangladesh Supreme Court) মামলা করে। সেই মামলার শুনানি রবিবার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জনৈক আইনজীবী মারা যাওয়ায় রবিবার আংশিক ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বাতিল হয়ে যায় চিন্ময় দাসের জামিন বিরোধিতা মামলার শুনানি।

রবিবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। যেভাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল, তাতে বাংলাদেশের মৌলবাদী জঙ্গিদের থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিরাপত্তা বিধান বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ। গোটা বিশ্বে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি ও তার গ্রেফতারি মামলার শুনানি হওয়া আটকানো চেষ্টা চালিয়েছিল মৌলবাদীরা তার নিন্দা হয়েছে গোটা বিশ্বে। ফলে রবিবারের নিরাপত্তা ছিল কড়া। কিন্তু সকালে সুপ্রিম কোর্টের (Bangladesh Supreme Court) কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে আংশিক ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট। সোমবার ফের এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য যাবে। সেই অনুযায়ী নতুন শুনানির দিন নির্ধারিত হবে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–