সিআরপিএফ জওয়ানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে যে তথ্য সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন, তা সবই মিথ্যা। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আনলেন বরখাস্ত হওয়া জওয়ান মুনির আহমেদ (Munir Ahmed)। রবিবার রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে আবেদন করতে চান।

সেনাবাহিনীর পক্ষে দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানি নাগরিক মিনাল খানকে বিয়ে করার আগে তিনি অনুমতি নেননি সিআরপিএফের (CRPF)। এর পাল্টা তথ্য তুলে মুনির দাবি করেন, ৩১ ডিসেম্বর পাকিস্তানি নাগরিককে (Pakistani citizen) বিয়ের আবেদন করে দরখাস্ত করেন তিনি। সেনাবাহিনীর কোন দফতরে তিনি আবেদন করেছিলেন, তাও জানান। পাল্টা বিয়ের দিন, বিয়ের কার্ড ইত্যাদি তাঁর কাছে চাওয়া হয়। সেই বিবরণ দিয়েও তিনি সিআরপিএফ দফতরে বিস্তারিত পেশ করেন। তিনি দাবি করেন যে নির্দিষ্ট পথে তিনি আবেদন করেছিলেন তা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যা দিল্লি থেকে প্রত্যুত্তরে বোঝা যায়।
জম্মুর ঘাটোরার বাসিন্দা মুনির জানান, লিখিতভাবে তাঁর কাছে বিয়ে হয়েছে, এমন প্রমাণ চাওয়া হয়। কিন্তু তখনও বিয়ে না হওয়ায় তিনি সেই তথ্য পেশ করতে পারেননি। পরে বাবার অসুস্থতার কারণে মিনালকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করে নিতে বাধ্য হন মুনির। সেই ভার্চুয়াল বিয়ের ছবি (marriage photo) ও বিয়ের সংশাপত্রও সিআরপিএফ (CRPF) দফতরে পেশ করেন মুনির। সাংবাদিকদের কাছে সেই সব তথ্য পেশ করে তাঁকে যে কারণ দেখিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে তা কার্যত নাকচ করে দেন তিনি।

মুনির আহমেদ জানান, চাকরি থেকে বরখাস্তের আরও কারণ হিসাবে বলা আছে যে তিনি তার স্ত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ভারতে থাকার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানাননি। কিন্তু মুনিরের দাবি এই কথা সত্য নয়। তিনি তথ্যসহ দাবি করছেন, তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে তার প্রমাণ আছে। মুনির জানান, ফেব্রুয়ারিতে তাঁর স্ত্রী আসার পর তিনি ছুটিতে ছিলেন। ২৩শে মার্চ পুনরায় ডিউটিতে যোগদান করে কর্তৃপক্ষকে সব জানান। এমনকি অভিযোগ করেন, যখনই অন্য ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়, তখন ১৫ দিন যোগদানের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা পাননি। তাঁকে ট্রেনের টিকিটও দেওয়া হয়নি।

তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি এবার প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে চান যে একজন জওয়ান হিসেবে তাঁর ভুল কোথায়। তিনি ২০২৪ সালে বিয়ে করেনা এবং তার তথ্য ২০২২ সালেই কর্তৃপক্ষকে জানান। তাহলে কেন তাঁকে অভিযুক্ত করে শাস্তির মুখে ফেলা হচ্ছে, প্রশ্ন মুনিরের।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
