‘অপারেশন সিন্দুর’–এর পর রাতেই আকাশপথে পাল্টা হামলার ছক পাকিস্তানের। আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল জম্মু, সাম্বা, আরএস পুরা, আর্নিয়া–সহ একাধিক জায়গায়। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৎপর হয়ে সবক’টি ধ্বংস করে দেয়। একইসঙ্গে জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গুলি করে নামানো হয়েছে দুই পাকিস্তানি ড্রোন।

ঘটনার জেরে পাঠানকোট, রাজৌরি, সাম্বা, আখনুরসহ একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উধমপুরের দিক থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। ইতিমধ্যেই জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাকিস্তানের ড্রোন ধ্বংস করেছে ভারত (IAF)। অন্ধকার জম্মু জুড়ে শুধুই সাইরেনের শব্দ। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সতর্ক ভারতীয় বায়ু সেনা।পাক হামলার নিশানায় ছিল মূলত জম্মু বিমানবন্দর (Jammu Airport) , সাম্বা, আরএস পুরা, আরিনা এবং সংলগ্ন এলাকা। সমগ্র জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশ এমনকি অমৃতসরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে।

শুধু জম্মু নয়, সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউট’ চলবে। অমৃতসর. চণ্ডীগড়েও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। বেজেছে সাইরেন।
সীমান্তেও চলছে গোলাগুলি। কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি—এলওসি বরাবর পাকিস্তানের ভারী মর্টার ও কামান থেকে গুলি বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন নিরীহ মানুষ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও পাঁচ শিশু। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, “আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু সীমান্তে মর্টার চললে জবাব দিতে বাধ্য হব।”

আরও পড়ুন- যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা: কলকাতা পুরসভার সব কর্মীর ছুটি বাতিল! জারি নির্দেশিকা
_

_

_

_

_


_

_

_

_

_