এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে মেতে থাকলে আখেরে এশিয়া দখলে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবে চিন, এমনটাই ধারণা কূটনীতিকদের। মূলত যেভাবে স্যাটেলাইট (satellite), আকাশ পথে দুই দেশের দ্বন্দ্ব ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা তথ্যের উপর নির্ভর করে ভারতের তথ্য সংগ্রহই লক্ষ্য প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো শত্রু চিনের (China)। সম্প্রতি ভারতের গোয়েন্দা তথ্য (intelligence gathering) হাতাতে বিভিন্ন পথে চিনের নজরদারির সত্য সামনে এসেছে। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব পরিস্থিতিতে সেই তথ্য সংগ্রহ আখেরে চিনের পক্ষে সুবিধাজনক হচ্ছে বলে দাবি মার্কিন কূটনীতিকদেরও।

আকাশ পথে ভারত ও পাকিস্তানের যে দ্বন্দ্ব হবে তাতে ভারতের বায়ু সেনার (Air Force) দক্ষতা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হবে চিনের পক্ষে। ইতিমধ্যেই ভারতের যুদ্ধ বিমান পাকিস্তান ধ্বংসের যে দাবি করেছে, তা অস্বীকার করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। তবে এতে প্রমাণিত হয় ভারত পাকিস্তানের আকাশে বা অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) চলাকালীন বায়ুসেনার ব্যাপক ব্যবহার করেছে। কূটনীতিকদের দাবি, আকাশ পথে যুদ্ধবিমান উড়লেই বিমানের ধরণ, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (air to air missile) থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষতা নিয়ে সম্মক ধারণা তৈরি করতে পারবে চিন।

তবে তার থেকেও বেশি সাহায্য করতে পারবে চিনের স্য়াটেলাইট (satellite)। ব্রিটিশ হিসাব বলছে, চিনের কাছে ২৬৭ টি স্যাটেলাইট রয়েছে, যার মধ্যে ১১৫টি ব্যবহার করা হয় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য। এছাড়াও ৮১টি ব্যবহার করা হয় সেনাবাহিনীর তথ্য সংগ্রহের জন্য। যে পরিস্থিতিতে ভারতের সেনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা ধরা পড়ছে চিনের স্যাটেলাইটে। সেই মতো নিজেদের সেনাকে প্রস্তুত রাখা সম্ভব হবে চিনের পক্ষে।
বর্তমানে চিন নিজের স্যাটেলাইট গুলি কোন এলাকার তথ্য় সংগ্রহের জন্য রেখেছে, তা তারা কোনওভাবেই প্রকাশ করেনি। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্তের পাহারাদারি নিয়ে চুক্তি নতুন করে হয়েছে। তাতে ভারত সরকার অত্যন্ত নিশ্চিন্ত হলেও আগ্রাসী চিন যে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে, তা মনে করেন না কূটনীতিকরা। সংঘাতের পরিস্থিতি বাড়লে ভারত বিভিন্ন এলাকায় সেনা সরিয়ে চিন সীমান্ত দুর্বল করলে চিন যে সেই সুযোগ নেবে তা বলাই বাহুল্য।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
