নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি ঢাকা দিতে নতুন নতুন পন্থা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই তৃণমূল সাংসদ ও নেতাদের মুখ বন্ধ করার খেলায় মেতেছিল স্বৈরাচারী মোদি সরকার। তৃণমূলের আন্দোলন ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় নির্বাচন কমিশন দফতরে (Election Commission of India) বিক্ষোভ দেখানো ঠেকাতে। মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। সেই মামলায় তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ ও পাঁচ নেতার জামিন মঞ্জুর করল দিল্লি রাউস অ্যাভেনিউ (Rouse Avenue Court, Delhi) আদালত।

মোদি সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন, নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) দফতরের বাইরে ৮ এপ্রিল বিক্ষোভ দেখানোয় তৃণমূলের ১০ নেতার বিরুদ্ধে আদালতের সমন। প্রকাশ্যে সেই পদক্ষেপ নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের প্রধান পদে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছিল রাজ্যের উপর বঞ্চনার অভিযোগগুলিও। আর তাতেই মুখবন্ধের খেলায় নামে বিজেপি।

যদিও তাতে দমে না গিয়ে প্রতিবাদের পথ থেকে কোনও ভাবেই সরে আসেননি তৃণমূল সাংসদ, নেতারা। দিল্লি আদালতের সমনে তাঁরা যথাযথ সহযোগিতাও করেন। ফের মঙ্গলবার রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে হাজির হন পাঁচ তৃণমূল সাংসদসহ চার নেতা উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল যোগ দেন বিধায়ক বিবেক গুপ্তা। এদিনের শুনানিতে পাঁচ সাংসদ – ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ ও নাদিমুল হককে ব্যক্তিগত ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে রাউস অ্যাভেনিউ আদালত (Rouse Avenue Court)। সেই সঙ্গে বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহাকেও ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।

–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
