কানাডায় জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পতনের পরে খালিস্তানি জঙ্গিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার পালায় খানিকটা ইতি টানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি (Mark Carney) সরকারি ভারতের সঙ্গে খালিস্তানি ইস্যুতে ইতিবাচক বার্তা না দিলেও এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দকে (Anita Anand) বিদেশ মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতে যে কানাডা আগ্রহী তার স্পষ্ট বার্তা দিলেন। সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের মেরামতির ইঙ্গিতও রয়েছে এই পদক্ষেপে।

কানাডার মন্ত্রিসভার শপথে শ্রষ্টা দেশ ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি, এই দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতে নতুনভাবে জোর দেওয়ার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। সেই শপথ অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদে প্রত্যাবর্তন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের। বিদেশ মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে গিয়ে শ্রীমদ্ভবতগীতায় (The Gita) হাত রেখে শপথ নিয়ে নিজের ভারতীয় শিকড়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন আনন্দ (Anita Anand)। ট্রুডোর সময়ে যেভাবে প্রবাসী ভারতীয়দের উপর খালিস্তানি অত্যাচারেও কানাডার সরকার নীরব থেকেছে, আনন্দের শপথে সেই প্রথার ইতি হওয়ার ইঙ্গিতও রয়েছে।

জন্মসূত্রে কানাডার বাসিন্দা অনিতার (Anit Anand) বাবা তামিলনাড়ু ও মা পঞ্জাবের। তবে তাঁর জন্ম কানাডার নোভা স্কটিয়ায়। কানাডার মন্ত্রিসভায় তিনিই প্রথম হিন্দু ভারতীয় হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের সময় কার্নির প্রধান লক্ষ্য ছিল আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের মেরামতি। সেই কাজে অনিতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মত কূটনীতিকদের। তবে সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের মেরামতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন তিনি।

তবে অনিতা আনন্দের পাশাপাশি কার্নির (Mark Carney) মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী হলেন মনিন্দর সিধু। আন্তর্জাতিক উন্নয়নের মন্ত্রী হলেন রণদীপ সরাই। সেই সঙ্গে অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ক মন্ত্রী হলেন রুবি সাহোটা। ভারতের পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতেও যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন কার্নি। সেই উদ্দেশে কানাডা-আমেরিকা বাণিজ্য মন্ত্রী করা হয়েছে ডমিনিক লেব্লাঙ্ককে।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
