বিজেপি নেতা সাংসদদের নারী বিরোধী অবস্থান এর আগে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। যে বিজেপি সরকার ঘটা করে জঙ্গি হামলার পাল্টা ভারতীয় সেনার জবাবকে অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindur) নাম দিয়েছে সেই দলের নেতারাই হামলা পরবর্তী সময়ে এই ইস্যুতে একাধিকবার নারী বিদ্বেষী মন্তব্য পেশ করেছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ রাম চন্দের জাংরা (Ram Chander Jangra)। পহেলগাম হামলার সময় স্বামী হারানো মহিলাদের দিকে আঙ্গুল তুলে সরব বিজেপি সাংসদ। সেখানেই বিজেপি কীভাবে সিঁদুরের অপমান করে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল।

বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাম চন্দের জাংরা (Ram Chander Jangra) দাবি করেন পহেলগাম হামলা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ভারতীয় মহিলাদের বীরাঙ্গনার ভাব ছিল না। তাঁদের মধ্যে উত্তম, আবেগ ও হৃদয়ের অভাব ছিল। তাই তাঁরা হাত জোড় করে গুলির শিকার হয়েছেন। জঙ্গি হামলার মুখে নিজেদেরও পরিবারের পুরুষদের প্রাণ বাঁচাতে দিশাহারা মহিলাদের দিকে কার্যত দায় ঠেলে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।

বিজেপি সাংসদ জাংরা রানী অহল্যাবাঈ, রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের সঙ্গে তুলনা করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া পর্যটক মহিলাদের। এমনকি বিজেপি সাংসদের দাবি, এই মহিলাদের কেন্দ্র সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রশিক্ষণ থাকলে তাঁরাই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াই করতে পারতেন না।

পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যেখানে তটস্থ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), দল মত নির্বিশেষে দেশ থেকে প্রতিনিধি দল বিশ্বের একাধিক দেশে পাঠিয়েছেন সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সেখানে তাঁরই দলের সাংসদের ফের একবার নারী বিদ্বেষী বিতর্কিত মন্তব্য। এখানেও কেন্দ্র সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদের সমালোচনায় সরব বাংলার শাসকদল। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) দাবি করেন, জঙ্গিহানার প্রতিবাদ এক কণ্ঠস্বরে করা হয়েছিল। যে প্রত্যাঘাত করা হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন দুই মহিলা। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিন্দুর। সিঁদুরের ঐতিহ্য ও সম্মানের দিকে তাকিয়েই হয়তো কেন্দ্রের সরকারের পক্ষ থেকে এই নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুনছি অবাক হয়ে বিজেপির নেতৃত্ব কীভাবে সিঁদুরকে অপমান করছে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–