Failure is the piller of success .
Every failure is a step to success .
If you try , nothing is impossible .
আছে হার আছে জিত । আছে জয় আছে পরাজয় ।
কিন্তু হেরে গিয়ে হাল ছেড়ে দিলেই সব শেষ ।
চাই অদম্য জেদ আর দৃঢ় প্রত্যয় । চাই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্মর প্রয়াস । ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় । চাইলে মানুষ কী না পারে । প্রাইমারীতে দু’বার ফেল । মাধ্যমিকে তিনবার ফেল। চাকরির পরীক্ষায় ৩০ বার ফেল । ব্যর্থতায় বিপন্ন জীবন। সেই মানুষটিই এখন হাজার হাজার মানুষের অন্নদাতা ।
চীনে যখন কে এফ সি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করেন । এঁদের মধ্যে ২৩ জনের চাকরি হয় । শুধুমাত্র একজন বাদ পড়েন। সেই মানুষটি আর কেউ নন , যিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০ বার আবেদন করে দশবারই প্রত্যাখ্যাত হন। প্রত্যাখ্যান ও ব্যর্থতা যাঁর জীবনকে অক্টোপাসের মতো বেঁধে ফেলেছিল , সেই মানুষটিই একদিন উঠলেন সাফল্যের এভারেস্ট চূড়ায় ।কীভাবে ? কেমন করে ?
নিজের প্রতি বিশ্বাস না হারালে এবং শেষপর্যন্ত লড়াই না ছাড়লে সব কিছুই সম্ভব । সাফল্যের বরমাল্য পরে হাসতে হাসতে পৃথিবীকে এই লড়াকু বার্তা যিনি দিয়েছেন তাঁর নাম জ্যাক মা। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে ইনি বর্তমানে দুনিয়ার ৩৩-তম ধনী ব্যক্তি । তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১.৬ বিলিয়ন ডলার ।
মিস্টার জ্যাক মা পৃথিবীর অন্যতম বড়ো অনলাইন কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান । তাঁর জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে । চাকরির পরীক্ষায় ৩০ বার ফেল করা জ্যাক মা-র প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে । ইতিহাসের কি আশ্চর্য পরিহাস ! আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করার সময় সবাই , এমনকি টাইম ম্যাগাজিন পর্যন্ত জ্যাক মা-কে পাগল বলেছিল । কিন্তু মানুষের প্রবল ইচ্ছাশক্তির গতি রোধ করবে কে ? মানুষের দুর্মর আশাবাদ সভ্যতার প্রধান চালিকাশক্তি। জ্যাক মা বলেন , ‘ পাগল হওয়াই বোধহয় ভালো । আমরা পাগল , কিন্তু নির্বোধ নই । ‘
চীনের হাংঝু-তে এক দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম । শৈশবে তিনি প্রায়ই তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়া করতেন । অনেক কিছুরই অভাব ছিল তাঁর । কিন্তু কখনও হতোদ্যম হতেন না । জ্যাক মা-র অভিধানে অসম্ভব শব্দটা ছিল না । তিনি বলেন , প্রতিপক্ষ যত বড়ো বা শক্তিশালী হোক না কেন , কখনও ভয় পেতে নেই । ট্যুরিস্ট গাইড , শিক্ষকতা ইত্যাদি কাজ তিনি করেছেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল বিরাট কিছু করার । মাসে মাত্র ১২ ডলার বেতনের কাজও তিনি করেছেন হাসিমুখে এবং পরম নিষ্ঠার সঙ্গে । কম্পিউটার বা কোডিং নিয়ে জ্যাকের কোনো ধারণা ছিল না । কিন্তু ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় প্রথমবার ইন্টারনেটের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি । তখন তিনি অনুবাদ ব্যবসা শুরু করেন এবং একটি চীনা কোম্পানির অর্থ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে ওই ভ্রমণে গিয়েছিলেন । এই সময়েই তিনি চীনের জন্য ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ার সিদ্ধান্ত নেন । প্রথমদিকে অর্থের অভাবে খুব একটা এগোতে পারছিলেন না । কিন্তু তারপর তাঁর ১৭ জন বন্ধুকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে রাজি করান জ্যাক । তাঁর সাইট-এ রপ্তানিকারকরা তাঁদের পণ্য পোস্ট করতে পারতেন , আর গ্রাহকরা সেখান থেকে সরাসরি কিনতে পারতেন । এর ফলেই তাঁর এই সাইট দ্রুত ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । আর তারপর তো ইতিহাস । এককালের চূড়ান্ত ব্যর্থ জ্যাক মা বর্তমানে বিশ্ববন্দিত ।
আরও পড়ুন – ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬ লক্ষ পলিসি বিক্রি, গিনেস বুকে এলআইসি
_
_
_
_
_
_
_