বর্ষার প্রবেশের আগেই ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে গোটা রাজ্য। দক্ষিণ থেকে উত্তরের সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস (rain forecast) দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর সেই বৃষ্টি আগামী সাতদিন ধরে চলবে বলে সতর্ক করা হল। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতার পরেই উপকূল এলাকা (coastal area) জুড়ে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে, তেমনই শুরু হয়েছে কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রাবল্য বেশি থাকলেও তার অভিমুখ দক্ষিণ-পশ্চিমে। ফলে তার গতি অত্যন্ত ধীর। তারই প্রভাবে আগামী সাতদিন বাংলার জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত এলাকায় টানা বৃষ্টি হবে, জানালো আবহাওয়া দফতর। তার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হুগলি জেলায়। এই জেলাগুলিতে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (heavy rain forecast) রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা, হুগলি জেলায় ৩০-৪০, আবার কোথাও কোথাও ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।
উত্তরের জেলাগুলিতে একইভাবে টানা বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকাতে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা পর্যন্ত জারি হয়েছে। পার্বত্য দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এলাকাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
বুধবার থেকে বঙ্গে বর্ষার (monsoon) প্রবেশের বার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তের জেরে সেই বর্ষার প্রবেশ বাধার মুখে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপ-অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানাচ্ছেন, শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলাতেই ৭৫ শতাংশ এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–