পহেলগাম হামলা পরবর্তীতে কেন্দ্রের সব পদক্ষেপে প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কোনও রকম রাজনীতি ছাড়া সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় সব রকম সদর্থক পদক্ষপ নিয়েছে বাংলার শাসকদল। কিন্তু এর পরবর্তীতে কেন্দ্রের সরকার কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী হামলার মোকাবিলায় কীভাবে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় দেশের সব রাজনৈতিক দল। জনপ্রতিনিধি হিসাবে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দাবি করে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানালো তৃণমূল। চিঠি দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)।

তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দাবি করে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতোই মঙ্গলবার দিল্লির ৬১, সাউথ এভিনিউ তৃনমুল কংগ্রেস দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূল সাংসদরা। লোকসভা (Loksabha) ও রাজ্যসভার (Rajyasabha) সাংসদরা সেখানে যোগ দেন, যার মধ্যে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাগরিকা ঘোষ, জুন মালিয়া, সুখেন্দু শেখর রায়, মৌসম বেনজির নূর প্রমুখ। দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পরে তাঁরা যান সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে। সেখানে পহেলগামে নিহত সাধারণ নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সেই সঙ্গে চিঠি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে প্রতিটি পদক্ষেপে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের সরকারের পাশে থেকেছে। যখন হামলার পরবর্তীতে পদক্ষেপ হয়েছে তখন আমরা কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। এবার সংসদের একটি অধিবেশন ডাকা হোক। সবকিছু স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। কীভাবে হামলা হল ও সেই সময় নিরাপত্তা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিল। আমাদেরও অধিকার রয়েছে কী চলছে তা জানার। বর্তমানে কী পরিস্থিতি। যারা হামলা চালিয়েছিল তারা কোথায়, কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাদের বিষয়ে। এমনকি ভবিষ্যতে এরকম ধরনের কোনও হামলার আগে তা প্রতিহত করতে কেন্দ্রের সরকার কীভাবে এগোবে তা জানার অধিকার রয়েছে আমাদেরও। সেই সঙ্গে আমাদের কিছু বলারও আছে। তার জন্য সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

–

–

–
–

–
–

–

–
