সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে যৌথ বৈশ্বিক পদক্ষেপ দরকার। গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। সেই সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে হবে। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’-এর বার্তা দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ আর অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল। সেই দলে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের পরে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছেন অভিষেকরা। এদিন সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিভিন্ন দেশের রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, “আমি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে আবাসিক রাষ্ট্রদূতদের সম্বোধন করার সম্মান পেয়ে গর্বিত। সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাস বিরোধীদের মোকাবিলার জন্য আমরা সমন্বিত সংকল্প গ্রহণ করেছি। বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের সামনে আমরা এ দিন তা পুনর্ব্যক্ত করেছি।“

অভিষেক বলেন, “যারা এই চরমপন্থা লালন করে চলেছে, তাদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য যৌথ বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। গোটা বিশ্বের কাছে আমি এবং আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি।“ তাঁর কথায়, ভারত সবসময় শান্তিকে বেছে নিয়েছে, কিন্তু ন্যায়বিচারের মূল্যে নয়। দেশের সঙ্গে অন্যায় হলে আমরা তার সম্মিলিত প্রতিবাদ করব, লড়াই চলবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে। পহেলগাম হামলা শুধুমাত্র নিরপরাধদের উপর হামলা ছিল না, এটা ছিল মানবতার প্রতি অপমান। ভারত সেই অপমানের যোগ্য জবাব দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদে বিরুদ্ধে আমাদের দেশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সামনে থেকে সেই লড়াই চলবে। গোটা বিশ্বকে এই লড়াইয়ের শামিল হতে হবে। তবেই নির্মূল হবে সন্ত্রাসবাদ বার্তা অভিষেকের। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের কোনও সীমা নেই। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সবাই সম্মিলিত হন। ইন্দোনেশিয়াতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের এক করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বৈঠকের জন্য ধন্যবাদ জানাই।“

আরও খবর: জাকার্তায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বার্তায় আসিয়েন-ও পাশে: জানালেন অভিষেক


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
