শনিবার সকালটা আতঙ্ক আর শিউরে ওঠা দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। ৬ নম্বর ভরতগড় এলাকায় এক যুবক রাস্তায় নির্লিপ্তভাবে হেঁটে চলেছে, এক হাতে চপার, অন্য হাতে এক মহিলার কাটা মুণ্ডু! এমন বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে ভয়ে চমকে উঠল গোটা গ্রাম। কেউ ভয়ে জড়োসড়ো, কেউবা ছুটে পালালেন।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃতার ছেলে শুভদীপ মণ্ডল শোকস্তব্ধ। তাঁর দাবি, “প্রতিবেশীর সঙ্গে আম পাড়া নিয়ে মায়ের ঝামেলা হচ্ছিল। সেই ঝামেলা মেটাতে কাকাকে পাঠিয়েছিলাম। ভাবতেও পারিনি কাকা এমন নিষ্ঠুর কাজ করতে পারে। আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকেই কাকারা আমাদের হুমকি দিচ্ছিল। আমাদের নিজেদের জায়গায় হাঁটতেও দিত না। আমি চাই কাকা, কাকিমা ও তাঁর বড় ছেলের কঠোর শাস্তি হোক।”

জানা গেছে, ওই যুবকের নাম বিমল মণ্ডল। নিহত মহিলা সতী মণ্ডল তাঁরই বৌদি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ানে, শনিবার সকালে গরু চড়াতে গিয়ে সতী মণ্ডলকে পিছন দিক থেকে গলা কেটে খুন করেন বিমল। এরপর তাঁর কাটা মুণ্ডু হাতে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সরাসরি বাসন্তী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পারিবারিক জমি ও আমগাছ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই জেরে এই ভয়াবহ পরিণতি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক বিবাদকেই কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত বাসন্তী তথা গোটা জেলা।


আরও পড়ুন – ডবল ইঞ্জিন ত্রিপুরায় কাঁধে চড়ে হাসপাতাল সফর! টাকা পেয়েও দুর্গতিতে প্রশ্ন তৃণমূলের

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
