অডিও ক্লিপে বোলপুর থানার আইসি-কে অশ্রাব্য-কদার্য ভাষায় গালিগালাজ করায় FIR-এর জেরে থানায় হাজিরা এড়াচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শনিবারের পরে রবিবারও বোলপুর থানায় নির্দিষ্ট সময় হাজিরা দেননি তৃণমূল নেতা। উল্টে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতার অভিযোগ পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করা অডিওটি আসলে এআই (AI) দিয়ে তৈরি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অনুব্রত মণ্ডল নিজের মুখে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন কেন! এদিকে আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বীরভূম জেলার সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ নেতার দেখানো পথে বোলপুরের পুলিশকে (Police) অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে, অবশ্য সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানান, আবেগের বশে তিনি ওই কথা বলেছেন। আইন আইনের পথে চলবে।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিও ক্লিপে বোলপুর থানার আইসি-কে অশ্রাব্য-কদার্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। এর প্রেক্ষিতে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। এফআইআর দায়ের হয়। সেই প্রেক্ষিতেই শনিবার থানায় অনুব্রতকে তলব করা হয়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যাননি অনুব্রত। পুলিশ রবিবার বেলা ১১টার মধ্যে দেখা করার কথা বলে। কিন্তু সেই সময়ও যাননি অনুব্রত (Anubrata Mondal)। বদলে এক অনুগামী জানিয়েছেন, দাদার শরীর খুব একটা ভাল নেই। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ গগন সরকার উল্টে দাবি করেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ওই অডিও ক্লিপটি পাঠানো হয়েছে।“ আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে অনুব্রত নিজে ওই কদার্য ভাষা ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইলেন কেন! তিনি তো কখনও বলছেন না, যে ওই কণ্ঠস্বর বা ভাষা তাঁর নয়।
আবার নেতার পথে হেঁটে পুলিশ আধিকারিককে অশালীন আক্রমণ করেন বিক্রমজিৎ সাউ। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “এই আইসি দুর্নীতিগ্রস্ত। বোলপুর থানার আইসি প্রত্যেক বালি মাফিয়া, পাথর মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করে। এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্য়ান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছে।” সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে তিনি বলেন, “লিটন হালদারের দম থাকলে, বুকের পাটা থাকলে সত্যি কথাটা জানাও। বালিঘাট থেকে বোলপুরের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলেছ, তুমি অনুব্রত নামক শক্তিকে নিজের অপকর্মের মাধ্যমে দমানোর চেষ্টা করেছ। তোমার অপকর্মে অনুব্রতর শক্তি দমে না। এডিটিং করে ভয়েস তুলে আনার, এডিটিং করে সেই ভয়েস মার্কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছ।”
আরও খবর: সোদপুরে ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ! তদন্তে পুলিশ
তবে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান বিক্রমজিৎ। বলেন, তাঁর নেতার পাশে দাঁড়িয়ে আবেগে ওই সব কথা বলেছেন তিনি। কেউ তাঁর কথায় আহত হলে তিনি দুঃখিত। আইন আইনের পথে চলবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–