শহরের বুকে আবারও পশুদের উপর অমানবিক আচরণের অভিযোগ। সার্ভে পার্ক এলাকার দু’টি অভিজাত ফ্ল্যাটে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল ২১টি পোষ্যকে, এমনই অভিযোগ উঠেছে এক পশুপ্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ দুই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ১৪টি কুকুর ও ৭টি বিড়াল।
ওই পশুপ্রেমী সংস্থার কর্ণধার দোলা সরকার জানান, ফ্ল্যাট দু’টি থেকে উদ্ধার হওয়া পশুগুলির মধ্যে রয়েছে দেশি কুকুর, স্পিটজ, পাগ, পমেরিয়ান ও বিরল প্রজাতির পার্সিয়ান বিড়ালও। এক পশুপ্রেমীর কথায়, “এই পশুগুলিকে চরম অবহেলায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। এটা স্পষ্টতই প্রাণীদের উপর নিষ্ঠুরতা।”
পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সন্তোষপুরের এক ফ্ল্যাটে দুর্গন্ধের মধ্যে খাঁচাবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার হয় ৬টি কুকুর ও ৫টি বিড়াল। অভিযুক্ত দম্পতির কাছে কোনও টিকাকরণের নথি পাওয়া যায়নি। এর পাশাপাশি পশুপ্রেমীদের উপর হামলা, হুমকির অভিযোগও উঠেছে।
এরপর সার্ভে পার্কের আরেকটি ফ্ল্যাটে আরও ৮টি কুকুর ও ২টি বিড়াল উদ্ধার হয়। ওই ফ্ল্যাটে ছিল না জল বা বিদ্যুৎ। সমগ্র অভিযান শেষে উদ্ধারকৃত পোষ্যদের পশুপ্রেমী সংস্থার হেফাজতে চিকিৎসা ও যত্নের জন্য রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতির দাবি, তাঁরা পশুপ্রেমী, তাই এতগুলি কুকুর-বিড়াল রেখেছেন। তবে পশুপ্রেমী সংস্থা ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই দাবি ধোপে টিকছে না। পুলিশ জানিয়েছে, পশু নির্যাতন আইনের আওতায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাশাপাশি, পূর্বের একটি প্রাণীদগ্ধ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় শহরের পশুপ্রেমী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে—পশুপ্রেমের নামে এই অবহেলা, না কি এর আড়ালে অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশ্য? তদন্তের দিকেই তাকিয়ে সকলে।
আরও পড়ুন – ভারতের ধাঁচে রুশ আকাশে একসঙ্গে চার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
_
_
_
_
_
_
_
_
_