প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতে (North East India) উদ্ধারকাজে নামলো সেনা (Army)। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলায় জেলায় আটকে পর্যটকরা। অসম (Assam), মেঘালয়, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, উত্তর সিকিমে (North Sikkim) গত দু’দিনে মোট ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যাটা লাখ ছাড়িয়েছে। বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বহু এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জলস্তর বাড়ছে তিস্তা (Teesta) ও ব্রহ্মপুত্রের। এখনই কমবে না বৃষ্টি (Rain), পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রশাসনের।

সোমবার সকালে IMD জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও। মনিপুরে প্রবল দর্শনের ক্ষতিগ্রস্ত ইম্ফল। এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েছেন ১২০০ পর্যটক। মেঘালয়ে (Meghalaya) হড়পা বানে বিপর্যস্ত ১০টি জেলা। ত্রিপুরাতেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসমের ১৯টি জেলার ৭৬৪টি গ্রাম বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শ্রীভূমি জেলায় ৮৩ হাজার, নগাঁওতে ৬২ হাজার, লখিমপুর জেলায় ৪৬ হাজার এবং কাছাড় জেলায় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ১৫৫টি ত্রাণশিবিরে ৫৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তর সিকিমের অবস্থাও ভয়াবহ। তিস্তা সহ একাধিক পাহাড়ি নদী ফুঁসছে। জারি হয়েছে সতর্কতা। জলের তোড়ে ফিদাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় সমস্যা। লাচুঙে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ধাপে ধাপে তাঁদের গ্যাংটকে আনা হচ্ছে বলে খবর। মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ থাকছে দশ নম্বর জাতীয় সড়ক।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
