সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে এখন থেকে আর ‘মা’ বা ‘বাবা’ হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে হবে না রূপান্তরকামী দম্পতিদের (Transgender couples)। ‘গর্ভধারক পুরুষ’দের পক্ষে রায় দিয়ে কেরালা হাইকোর্ট (Kerala High Court) জানিয়েছে, এবার থেকে লিঙ্গভেদ মুছে ফেলে কেবলমাত্র ‘অভিভাবক’ হিসেবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা যাবে। সোমবার বিচারপতি জিয়াদ রহমান (Ziad Rahman) এই ‘অভিভাবক’ শব্দটিকে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

কেন এমন ঘটনা তা জানতে হলে জাহাদ ও জিয়া পাভালের (Jahad and Zia Paval) জীবনের গল্পটার সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। জাহাদ শারীরিক ভাবে নারী হলেও নিজেকে পুরুষ মনে করেন, আর অন্যদিকে পুরুষ হয়েও জিয়া একজন রূপান্তরকামী মহিলা। ২০২৩-এ দম্পতি সন্তানের জন্ম দেন। এরপর কোঝিকোড় পুরনিগম নবজাতকের শংসাপত্রে জাহাদকে ‘মা’ এবং জিয়াকে ‘বাবা’ বলে লেখে। এখানেই আপত্তি রূপান্তরকামী দম্পতির। তাঁরা সরাসরি মামলা করেন হাইকোর্টে। নজিরবিহীন এই মামলা আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা লড়েন কেরলের প্রথম রূপান্তরকামী আইনজীবী পদ্মা লক্ষ্মী। তিনি লিঙ্গ নিরপেক্ষ ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের এভাবে ‘মা’ ও ‘বাবা’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার অর্থ হল অস্তিত্বকে অপমান করা। এটা মৌলিক অধিকার খর্ব করার থেকে কম কিছু নয়। এরপরই রূপান্তরকামী দম্পতির দাবিকে মান্যতা দিয়ে জাহাদ ও জিয়ার পক্ষেই রায় দেন বিচারপতি জিয়াদ রহমান। কেরালা হাইকোর্ট জানায় রাজ্যের রূপান্তরকামী দম্পতির সন্তানদের জন্মের শংসাপত্রে ‘বাবা’ বা ‘মা’ এই দুই শব্দের পরিবর্তে ‘অভিভাবক’ হিসাবে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–