গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং চাপরামারি অভয়ারণ্যকে ঘিরে ঘোষিত পরিবেশ সংবেদনশীল এলাকা (ইকো সেনসিটিভ জোন বা ইএসজেড) রক্ষায় উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই এবার এই দুটি সংরক্ষিত এলাকার জন্য গঠিত হচ্ছে পৃথক মনিটরিং কমিটি।

সরকারি স্তরে জানানো হয়েছে, ওই কমিটির অনুমোদন ছাড়া ভবিষ্যতে ওই এলাকাগুলিতে কোনও প্রকল্পের কাজই শুরু করা যাবে না। গরুমারা ও চাপরামারির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক হবেন মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান। কমিটি গঠনের পরপরই এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং বিভিন্ন কার্যকলাপের পরিবেশগত মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

গত বছর কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গরুমারাকে ঘিরে ২৭৮ বর্গ কিমি এবং চাপরামারি সংলগ্ন ৯.৬ বর্গ কিমি এলাকা ইএসজেড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই অঞ্চলে পর্যটন প্রকল্প, খনন, পাথর ভাঙা, বনচ্ছেদন এবং নদী দূষণের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

চাপরামারির ইএসজেড মনিটরিং কমিটিতে থাকছেন কৃষি, আবাসন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশ ও পূর্ত দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়া থাকছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পরিবেশ সংস্থা তিস্তা ট্রাস্ট, জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ দীপর্ণা দত্ত ও সৌমেন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গরুমারা ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের এডিএফও রাজীব দে। গরুমারা কমিটিতেও থাকবেন সমমানের প্রতিনিধিরা, সঙ্গে থাকছেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অনিমেষ বোস।


তবে গরুমারার চারপাশে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একাধিক রিসর্ট পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব রিসর্ট বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক গতিবিধির পথের খুব কাছেই অবস্থিত। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন পর্যটন মহলও। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিব্যেন্দু দেব বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন। সবাই এখন কমিটির সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে।” রাজ্যের এই পদক্ষেপে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি জঙ্গল ঘেরা এলাকার সুষ্ঠু পর্যটন ব্যবস্থাপনাও যে এক নতুন মোড় নিতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন – মদ্যপানের বিরোধিতা করে খুন জয়নগরে, গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী
_

_
_

_

_

_

_

_

_
