জন বার্লার পরে শঙ্কর মালাকার- একের পর এক উত্তরের হেভিওয়েট নেতারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে (TMC)। পায়ের তলার মাটি সরছে বিজেপির (BJP)। কংগ্রেস খাদের কিনারায়। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর কে কে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের? জল্পনা উস্কে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) জানালেন, “পিচে সুইং আছে। দেখুন আরও উইকেট আসবে।”

নির্বাচনের আগে দলবদলের ঘটনা চিরপরিচিত। রাজনৈতিক দলের নজর থাকে শাসকদলের দিকে। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের বছর খানেক আগেই উত্তরবঙ্গে দুই হেভিয়েট নেতাকে দলে নিল তৃণমূল। আর কারা আছেন তালিকায়? আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন, দরজা খুললে বিরোধীদলই উঠে যাবে। বুধবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক সুব্রত বক্সি এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন শঙ্কর মালাকার। এর পর অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, আর কারা যোগ দেবেন?

জল্পনা উসকে অরূপ বলেন, “আমরা কাউকে তৃণমূলে আসতে বলিনি। কেউ স্বেচ্ছায় আসতে চাইলে ভালো। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আসবে।” রহহ্য বাড়িয়ে তিনি বলেন, “পিচে সুইং আছে। দেখুন আরও উইকেট আসবে।” সাংবাদিক উদ্দেশ্যে অরূপে মন্তব্য, “আরও এর জন্য অনেকবার আপনাদের আসতে হবে।”

এদিকে শঙ্কর শাসকদলে যোগ দেওয়া উত্তরবঙ্গের রাজনীতির সমীকরণ বদলাবে বলে আশঙ্কায় বিজেপি। কারণ, শঙ্কর ভোট টানায় সেটি বিজেপিকে সুবিধা করে দেয়। উত্তরবঙ্গে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি এদিয়ে যায় কিছু জায়গায়। শিলিগুড়ি, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ার মতো বিধানসভা আসনে ব্যাকফুটে যেতে হচ্ছিল শাসকদলের। এখন জন বার্লার নিজের শ্রমিক সংগঠন আছে। দক্ষ সংগঠক শঙ্কর মালাকারও। গোটা দার্জিলিং জেলাতেই নিজের নেটওয়ার্ক আছে। শঙ্কর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর ত্রিমুখী হবে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–