শেষ পর্যন্ত পুলিশের (Police) জালে মোবাইল চুরির ‘অপবাদে’ নাবালকের উপর নারকীয় অত্যাচারের মূল অভিযুক্ত মহেশতলার কারখানার মালিক শাহেনশা। মুম্বই থেকে দুই সঙ্গী-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) সন্তোষপুরে মোবাইল চুরি করেছে এই সন্দেহে কারখানায় (Factory) কাজ করা এক কিশোরের উপর নৃশংস নির্যাতন করা হয়। উলটো করে ঝুলিয়ে শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া ও লাঠি পেটা করার অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই চম্পট দেন কারখানার মালিক শাহেনশা ও তাঁর দুই সঙ্গী। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের কল্যাণ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে, এখনও নিখোঁজ অত্যাচারিত কিশোর।
মাস দেড়েক আগে দাদার সঙ্গে সন্তোষপুরের ওই জিন্স ওয়াশ কারখানায় (Factory) কাজ করতে গিয়েছিল ইসলামপুরের বাসিন্দা ওই নাবালক। পরিবারের অভিযোগ, দেড়মাস কাজ করার পরেও কোনও বেতন না দেওয়ায় মালিকের কাজে টাকা চায় দুই ভাই। তখনই দাদাকে আটকে রেখে মোবাইল চুরি ও ফোনে থাকা ২ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে ওই বছর ১৪-এর কিশোরের উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিকের শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চলে লাঠির বাড়ি। সেই ঘটনার ভিডিও করা হয় এবং তা ভিডিও ভাইরাল হয়।
প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে যদিও ডায়মন্ড হারবার পুলিশের তরফে একটি টিম মুম্বইয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই শাহেনশাহ-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও খবর: রাজধানীতে শুটআউট! পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে আহত ২ দুষ্কৃতী
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–