সুবক্তা। দলের হয়ে সাংসদে ঝড় তোলেন। ঝকঝকে ব্যক্তিত্ব। ছিপছিপে চেহারা। বরাবরাই চর্চায় তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ফের তিনি সংবাদ শিরোনামো। এবার কারণ মোটেও রাজনৈতিক নয়। একেবারেই ব্যক্তিগত। কিন্তু সেই খবরই এখন ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদ মাধ্যম জুড়ে। চুপিসারে বিয়ে সারলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। পাত্রও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্র (Pinaki Mishra)। আর বিয়েও হল রাজকীয় পরিবেশে। ৩ মে জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।

এর আগেও মহুয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চায় এসেছেন মহুয়া (Mahua Moitra)। বিতর্কও ছড়িয়েছে। আবার সব দক্ষ হাতে সামলে নিয়েছেন দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। পিনাকীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক মহুয়ার। ঘনিষ্ঠমহল তাঁদের বিয়ের কথা জানত। ৫১ বছরের মহুয়া ও ৬৫ বছরের পিনাকী দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিবাহ। ভিড় এড়িয়ে জার্মানির প্রাচীন বার্লিন প্রাসাদের ছাদে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ করলেন তাঁরা। বিয়ের পরেই নবদম্পতির হাসিমুখের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। মহুয়ার পরনে পিচ গোলাপি ও সোনালি জরির কাজ করা শাড়ি। চওড়া হার, দুল, টিকলিতে আরও সুন্দরী দেখাচ্ছিল তাঁকে। পিনাকীর পরনে সাদা কুর্তা, সোনালি জ্যাকেট। দুজনকে পারফেক্ট কাপল দেখাচ্ছে ছবিতে।

কংগ্রেস থেকেই মহুয়া ও পিনাকীক রাজনৈতিক জীবন শুরু। মহুয়া কম সময়ই কংগ্রেসে (Congress) ছিলেন। ২০০৯-এ জেপি মর্গ্যানের চাকরি ছে়ড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন মহুয়া। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘আম আদমি কা সিপাহি’তেই নজর কাড়েন মহুয়া। ২০১০-এ যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রথম করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন। হিন্দি-ইংরেজিতে সাবলীল মহুয়াকে সংসদে পাঠায় তৃণমূল। ২০১৯ ও ২০২৪- কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচিত হন মহুয়া। এদিকে ১৯৯৬ সালে পিনাকী কংগ্রেসের টিকিটেই প্রথম সাংসদ হন পুরী থেকে। পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজু জনতা (BJD) দলে যোগ দেন। বিজেডি-র হয়েই ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পুরী থেকে জেতেন। তবে, ২০২৪-এ তাঁকে টিকিট দেননি ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ঘটনা প্রবাহে সম্প্রতি কাছাকাছি এসেন এই দুই বন্ধু। তার পরের ঘটনা বার্লিন প্রাসাদের ছাদে।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
