মত্ত অবস্থায় দিঘায় হোটেল মালিককে বেধড়ক মার পর্যটকদের। চিকিৎসাধীন থাকার পরে তাঁর মৃত্যু। কড়া শাস্তি চান স্থানীয় হোটেল মালিকরা (Hotel Owner)। ১৯ মে নিউ দিঘার একটি হোটেলের মালিক প্রদীপ ঘোষকে (Pradip Ghosh) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে পাশের হোটেলের একদল পর্যটকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দিঘা থানার পুলিশ। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসার পর গত শনিবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই হোটেল মালিকের।

গত মাসের ১৭ তারিখ সাতজনের একটি পর্যটক দল নিউ দিঘার (New Digha) একটি হোটেলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর ১৯ তারিখ রাতে তারা হোটেলের বারান্দায় দেদার মদ্যপানের আসর বসায়। আনন্দ হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠে তারা। এমন সময় পাশের হোটেলের বারান্দায় খাওয়া-দাওয়ার পর হাঁটাচলা করছিলেন পাশের হোটেলের মালিক (Hotel Owner) কলকাতার বড়বাজারের বাসিন্দা প্রদীপ। এমন সময় মত্ত পর্যটকদের দল জানালা গলিয়ে একটি প্লেট ছোড়ে বলে অভিযোগ। প্রদীপ ঘোষের পায়ে আঘাত লাগে। ঘটনায় হোটেল মালিক প্রতিবাদ করলে তেড়ে আসে ওই মদ্যপ পর্যটকদের দল। তাঁদের মধ্যে তিনজন প্রদীপকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

হোটেলের কর্মীরা কোনওক্রমে উদ্ধার করে দিঘা রাজ্য জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে প্রদীপকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জনবহুল দিঘায় এভাবে হোটেল মালিকের মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে হোটেল মালিকদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল মালিকের অভিযোগ, “দিঘায় এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার মদ্যপ অবস্থায় পর্যটকরা হোটেল মালিক ও কর্মীদের হেনস্থা করে। আমরা এই ঘটনার কড়া শাস্তি চাই।”

হোটেল মালিককে মারধরের ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা উমাশঙ্কর দাস, উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ার নবীন চৌধুরী ও বিহারের অঙ্কিত কুমার। ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন দিঘা থানার ওসি অমিত প্রামাণিক।
আরও খবর: এখনই স্থগিতাদেশ নয়: এসএসসি গ্রুপ-সি,ডি মামলায় রায়দান স্থগিত


–

–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
